রাঙামাটি শহরে ভূমিকম্পে ঝুলুক্যা পাহাড়ের নির্মাণাধীন সংযোগ সেতুর জোড়ায় এবং তৃতীয় তলাবিশিষ্ট মসজিদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
একইসঙ্গে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ও ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় বোতল পড়ে তিনজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে কয়েকটি ট্রান্সফরমারের ফিউজ চলে যাওয়ায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
ঝুলুক্যা পাহাড় এলাকার স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায় করার সময় ভূমিকম্পে হঠাৎ মসজিদটি কেপে ওঠে। নামাজ শেষে বের হয়ে দেখা যায় মসজিদের দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল। মসজিদে ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
একই সঙ্গে শহরের সাথে পুরানপাড়া ও ঝুলুক্যা পাহাড়ের ওয়াই আকৃতির নির্মাণাধীন সেতুর দুই গার্ডারের সংযোগ স্থলে হালকা ফাটল দেখা গেছে।
ভোরে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভব করে শহরের কলেজ গেইট এলাকায় একটি বহুতল ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে দুইজন ও বনরুপা এলাকায় ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় বোতল পড়ে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের ফলে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের ট্রান্সফরমারের ফিউজ চলে যাওয়ায় রিজার্ভ বাজারের কিছু কিছুসহ শহরের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উপসরকারী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম জানান, মসজিদ ও সেতু দুটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে।
ভূমিকম্পে মসজিদটির দেয়ালে ফাটল দেখার কথা স্বীকার করে বলেন, নামাজ আদায়ে কোনো সমস্যা হবে না। যে ফাটল দেখা দিয়েছে তা সংস্কারের জন্য উদ্যোগ করা হবে। একই সাথে সেতুর দুই গাডারের অংশে এক্সপানশন জয়েন্ট রাখা হয়। এটি ফাটল না। এতে ঝুঁকির কোনো শঙ্কা নেই।
রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন জানান, ভূমিকম্পে শহরের বিভিন্ন ট্রান্সফরমারের ফিউজ চলে যাওয়ায় কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলেও তা দুপুরের আগেই ফিউজ লাগিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরায় সচল করা হয়েছে।
















