নিজস্ব প্রতিবেদক :
অসাম্প্রদায়িক ও শুদ্ধ সমাজ গড়তে মৌলভী হাফিজুর রহমান বিএবিটি’র কর্ম কীর্তি তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতেই সমাজের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। শুদ্ধ-সুস্থ সমাজ গঠনে হাফিজুর রহমান বিএবিটির মতো বিদগ্ধ পণ্ডিতদের নিয়ে যতো বেশি চর্চা হবে ততবেশি আলো ছড়াবে। সমাজ-দেশ উপকৃত হবে।
বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও জ্ঞানতাপস মৌলভী হাফিজুর রহমান বিএবিটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে তাঁরই কর্ম ও কীর্তির আলোকে সম্পাদিত গ্রন্থ ‘দিব্যলোকের মহাযাত্রী’র প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা উপর্যুক্ত বক্তব্য দেন।
৩০ অক্টোবর, শনিবার, বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আহমদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রকাশনা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সূচনা বক্তব্য ও সঞ্চালনায় উৎসবে সম্মানিত আলোচক ছিলেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাসেম, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনোয়ারা আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের মাসুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রকাশনা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক খোরশেদুল আলম শামীম, প্রধান সমন্বয়কারী লেখক-সংগঠক মঈনুদ্দীন কাদের লাভলু, সমন্বয়কারী সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন গ্রন্থের সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ূন করিম চৌধুরী। পরিবারের পক্ষে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে মরহুমের সন্তান, লেখক-প্রাবন্ধিক আলহাজ্ব মুসলেহ্উদ্দিন মুহম্মদ বদরুলের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মরহুমের দৌহিত্র মুনতাসীর মামুন।
ড. আবুল কাশেম বলেন, কবিতায় হাফিজুর রহমানের ভাষার অগাধ পাণ্ডিত্য আর সাহিত্যের গভীর চর্চা অনবদ্য। এসব আরো বেশি গবেষণা হোক, হোক আরো বেশি চর্চা।
ড. আনোয়ারা আলম বলেন, মৌলভী হাফিজুর রহমান বিএবিটি শিক্ষাকে ব্রত করেছিলেন, বিত্তকে নয়। আলোকিত সমাজ গড়তে মৌলভী হাফিজুর রহমান বিএবিটি’র আদর্শ লালন করতে হবে, ধারণ করতে হবে মনন- মানসিকতায়।
আলোচনায় অংশ নেন- দৈনিক নয়াবাংলা সম্পাদক জেডএম এনায়েতুল্লাহ, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, বীমা ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আকবর, লেখক-সংগঠক মহসিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আহমদ হোসেন ও মইনুল আলম টিপু, অধ্যাপক দৌলতুর রহমান চৌধুরী, মো. লিয়াকত আলী, আজম খান, আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর সালাম মুবিন, ব্যবসায়ী শফিউল আলম, হাফিজুর রহমান বিএবিটির নাতনি লুৎফুর রহমান আনিকা প্রমুখ।
মহসীন কাজী বলেন, হাফিজুর রহমান বিএবিটির অপ্রকাশিত রচনাবলি প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে। আলোকিত শিক্ষাবিদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সম্মানিত করলে সমাজ সম্মানিত হবে।
স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন করিম চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মৌলভী হাফিজুর রহমান বিএবিটি আধ্যাত্মিকতার শক্তিতে ফটিকছড়ির নানুপুর আবু সোবহান স্কুলে আশ্রয় নেওয়া হাজারো শরণার্থীর জীবন বেঁচেছিলো।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগ চাঁন্দগাও ওয়ার্ড সেক্রেটারি মো. সরওয়ার, নূর মোহাম্মদ খোকন, মো. মাসুদ, মো. রেজাউল করিম, সাংবাদিক আহসান রিটন, লেখক গোলাম মামুন জাবু, ফোরকান কবির, মহিউদ্দিন ইমন, ইকবাল হায়দার, ব্যাংকার ও সাবেক ছাত্রনেতা আল হাসান খান, কবি নিশাত হাসিনা শিরিন, শেখ আনোয়ার হোসেন রানা, জাফর ইকবাল, আহাছানুল জুয়েল, মাস্টার শামসুল হুদা,সৈয়দ মোঃ ওমর, সাজ্জাদুল আনিস, আরিফ সুমন, মামুন হক, মরহুমের পুত্র হেলাল উদ্দিন মুহম্মদ কামরুল, দৌহিত্র সাংবাদিক আল রাহমান প্রমুখ।
