নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে উপনির্বাচনের ভোট আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এই উপনির্বাচনে এক কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২০ জন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। আরেকজন বিএনপির প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাত ১২টায় বন্ধ হয়ে গেছে সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা। তবে ভোটের দিন কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন অনেক ভোটার ।
চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৭ অক্টোবর চকবাজার ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে ছয় থেকে ১০ জন করে পুলিশ থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রের বাইরে থাকবে পুলিশের মোবাইল টিম ও র্যাব।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে পাঁচ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমসহ সকল নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো শুরু হয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন। ১৫টি কেন্দ্রে ৮৬টি বুথে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস জাহান বলেন, নির্বাচনে ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে। আশা করি, ভোটের দিনও সমস্যা হবে না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছি। কেউ কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয়নি। এছাড়া এ পর্যন্ত বলতে পারে নির্বাচনী পরিবেশ খুব ভালো আছে।
উল্লেখ, গত ১৮ মার্চ চকবাজার ওয়ার্ডের সাতবারের কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন ।
















