মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নে ছেলের দেয়া চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে রাহেলা খাতুন (৬২) নামের এক মায়ের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ ওই মায়ের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে ওই ইউনিয়নের করজনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাহেলা খাতুন (৬২) ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের করজনা গ্রামের অহেদ আলী খানের স্ত্রী। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, করজনা গ্রামের মো. অহেদ আলী খানের স্ত্রী রাহেলা খাতুন ( ৬২ )। তার ৪ ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে একই গ্রামে। গতকাল বুধবার রাতে রাহেলা খাতুন মেঝ ছেলে বাবু খানের বাড়িতে খাবার খেয়ে মেয়ের বাড়িতে ঘুমাতে যান।
কিছুক্ষণ পর ছেলে বাবু খান তার মায়ের কাছে এসে বলে তুমি আমার ১ হাজার টাকা চুরি করেছ।
এ নিয়ে মা ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির পাশে একটি গাছে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে সংবাদ দেয়া হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, ছেলের দেয়া চুরির অপবাদ সইতে না পেরে রাতের কোন এক সময় গলায় রশি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মা রাহেলা।
মৃত রাহেলার নাতি আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার মেজ কাকা দাদিকে এক হাজার টাকা চুরির অপবাদ দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ কারণেই আমার দাদি আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে মো. বাবুল মিয়া বলেন, আমি শুধু মাকে বলেছি ১ হাজার টাকা এনেছ কেন। এই নিয়ে মায়ের সঙ্গে আমার সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। এর বেশি কিছু আমি বলিনি। তারপর আমি আর জানিনা। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে খবর পাই মা মারা গেছেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মায়ের সঙ্গে ছেলের টাকা-পয়সা নিয়ে কথাকাটাকাটি হওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
















