উখিয়ায় মুজিববর্ষের গৃহহীনদের ঘর পরিদর্শন করলেন উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায়
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দরগাহবিল এলাকার মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত নতুন নির্মিত সেমিপাকা দালান ঘর গুলো মঙ্গলবার সকালে পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সরকার কক্সবাজারের উপ পরিচালক (উপ সচিব) শ্রাবস্তী রায়
এসময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ,উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন। কন্ট্রাকটর মুফিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ১৪৫ দরিদ্র গৃহহীন পরিবার এসব ঘরে উঠবে শীঘ্রই। নতুন ঘরের সাথে মনোনীত প্রত্যেক পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে ২ শতক করে ভিটে জমির দখল ও দলিল। আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী এসব হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
জানা যায়, উখিয়ার ৩ নং হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনীহার কারণে ঐ ইউনিয়নের গৃহহীন দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ৬ টি ঘর অন্য ইউনিয়নে পূণঃ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হলদিয়াপালং ইউনিয়নের উক্ত ৬ টি ঘর রাজাপালং ইউনিয়নের গৃহহীন মানুষের জন্য নির্মিত হচ্ছে বলে উখিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা-পিআইও জানান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্বাবধানে সারাদেশের ভুমি ও গৃহহীনদের পূর্ণঃবাসনের দীর্ঘমেয়াদী এ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি, পিআইও সদস্য সচিব, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
উখিয়া পিআইও মোঃ আল মামুন বলেন,যথেষ্ট স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে গৃহহীনদের মাঝে ঘর প্রদান কার্যক্রম চলছে। উপকারভোগী মনোনয়ন করা হয় স্বচ্ছতার মাধ্যমে। অনেক আগে থেকে গৃহহীনদের তালিকা অনুমোদন করা আছে। সেই তালিকা হতে পর্যায়ক্রমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের সরকারের ঘর প্রদান করা হচ্ছে।
এখন কেউ চাইলেও পূর্বের অনুমোদিত তালিকার বাইরের কাউকে ঘর দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া তালিকা উপজেলা কমিটি যাচাই বাছাই করে নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে পিআইও জানান। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য মনোনীত গৃহহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত ১৪৫ টি নতুন ঘর হস্তান্তরের প্রস্তুত বলে তিনি জানান।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্প ‘গৃহহীন মানুষদের বিনামূল্যে সেমিপাকা ঘর ও জমি ‘ প্রদান অনন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে উখিয়ায় চলতি বছর ১৪৫ পরিবারকে নতুন ঘর শীঘ্রই হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্বাবধানে সারাদেশের ভুমি ও গৃহহীনদের পূর্ণঃবাসনের দীর্ঘমেয়াদী এ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি, পিআইও সদস্য সচিব, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
ইউএনও বলেন, চলতি অর্থ বছরে ১ম পর্যায়ে ১০০ টি ও ২য় পর্যায়ে ৪৫ টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায়। তন্মধ্যে জালিয়াপালং ইউনিয়নে ২৭ টি, রত্নাপালং ইউনিয়নে ১৬ টি, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে ২২ টি, রাজাপালং ইউনিয়নে ৪৯ টি ও পালংখালী ইউনিয়নে ৩১ টি।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে উপজেলা কমিটির সার্বক্ষণিক তদারকিতে গুণগতমান বজায় রেখে এসব ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও জীবনমান উন্নয়ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।
তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও মানুষের জীবন যেখানে এলোমেলো হয়ে পড়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যেও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে উখিয়ায় ১৪৫ গৃহহীন পরিবারসহ সারাদেশে লক্ষ লক্ষ পরিবারকে বিনামূল্যে সেমিপাকা ঘর ও জমি প্রদান অনন্য মানবিকতা বলে তিনি জানান।