হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: দীর্ঘ নয় বছর পর আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে অংশ নিতে আবেদন করেছে ২২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান চবির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সমাবর্তন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চবির পঞ্চম সমাবর্তনে বর্তমান সরকারে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দেওয়া হবে। সমাবর্তনে প্রধান বক্তা থাকবেন মুহাম্মদ ইউনূস এবং সভাপতিত্ব করবেন চবির উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
তিনি জানান, সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের পরিবারে সদস্যদের জন্য প্যান্ডেলে আসনের ব্যবস্থা থাকবে না। তবে অনুষদের প্রাঙ্গণে গেস্টদের জন্য সাময়িক বসার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তারা বসতে বা রেস্ট নিতে পারেন।
এনায়েত উল্যা আরও জানান, সমাবর্তনের তারিখ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের মাঝে নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে। আসলে এই তারিখটি আমরা ঠিক করিনি এটা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ঠিক করা হয়েছে। আর গাউনের সঙ্গে আমরা এবার টুপি দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছি; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের সমাবর্তনে দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে।
এর আগে সমাবর্তনে আবেদনের সময় ছিল ১৫-৩০ মার্চ পর্যন্ত। তবে প্রথম দিকে মূল সনদ উত্তোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সুযোগ না রাখা হলেও পরে সমালোচনার মুখে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মূল সনদ উত্তোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নতুন করে আবেদনের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয় ৩-৯ এপ্রিল পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য।
এবার সমাবর্তনে অংশ নেবে ২০১১-২০২৩ সাল পর্যন্ত যেসব শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তারা। সমাবর্তনটি হতে যাচ্ছে চবির এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন।
এর আগে চবিতে ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন, ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় ও সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।