চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবু তাহের মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবে। দেশে পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে। তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া হবে। কারো চোখ রাঙানিকে আমরা ভয় করি না। বাংলাদেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় আরো যত রক্ত দেয়া প্রয়োজন, দিতে আমরা রাজি আছি। আগামী বিপ্লব চট্টগ্রাম থেকে শুরু হবে।’
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সিটির বহদ্দারহাটের একটি কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষাশিবিরে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মজলিশে শূরার সদস্য মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবুল হাসনাত মো. আব্দুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। দারসুল কোরআন পেশ করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক প্রো-ভিসি আবু বকর রফিক আহমদ।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা খায়রুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এসএম লুৎফর রহমান, নগর কর্মপরিষদ সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমান, আমির হোসাইন, হামেদ হাসান এলাহী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু তাহের মুহাম্মদ মাসুম আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশে আমাদের থাকতে হবে। এ ঐক্যকে অটুট রাখতে হবে। এ ঐক্যকে নস্যাৎ করতে পারে এই রকমের কোন অপশক্তিকে আমরা কোন অবস্থায়ই বরদাশত করব না। এ অবস্থায় সচেতন রাজনৈতিক দল হিসেবে অন্যদের তুলনায় জামায়াত ইসলামীর দায় বহু বেশি।’
আবুল হাসনাত মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘যারা ঈমানদার তারা আল্লাহকে খুব ভালবাসেন। দ্বীনের জন্য তারা ফাঁসি বরণ করতেও ভয় পায় না। আল্লাহকে ভালবেসে তা মনে ধারণ করায় হল তাকওয়া। তাকওয়ার চেতনায় আমাদেরকে কাজ করে দুনিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কুরআন-সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরে হকের ওপর অটল থেকে আল্লাহর ভয়ে জীবনের প্রত্যেকটি কাজ করতে হবে এবং যার যে দায়িত্ব আছে তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।’
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আল্লাহ নবী-রাসূলদের মাধ্যমে আমাদের নৈতিক শিক্ষা দিয়েছেন এবং সত্যের সাক্ষ্যদাতা বানিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামী সেরকমই সত্যের সাক্ষ্য দেয়ার দল। সৌহাদ্য-সম্প্রীতির মাধ্যমে সোনালী সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দ্বীনের প্রয়োজনে রাজনীতি, রাজনীতির প্রয়োজনে দ্বীনকে নেয়া যাবে না। আনুগত্য, পরামর্শ, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, এহতেসাব ও আনুগত্যের মাধ্যমে সংগঠনের মজবুতি ভিত্তি তৈরি করতে হবে।’
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর জামায়াতে ইসলামী অবরুদ্ধ ছিল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।’