সোমবার (১৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন আনোয়ার উপজেলার বারখাইন এলাকার বাসিন্দা কফিল উদ্দিন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ, পিবিআইয়ের প্রাক্তন প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রাক্তন কমিশনার সাইফুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক, নেজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ মহসীন, জাহিদুল কবিরসহ ২৬ পুলিশ কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, ওয়াসিম উদ্দিন ও মোবারক আলী প্রমুখ।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূরে খোদা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট মোড়ের গোল চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণে আহত করার অভিযোগে ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্টো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কোতোয়ালী থানার নিউ মার্কেট গোল চত্বর এলাকায় গেল ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেন কফিল উদ্দিন। ওই দিন আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বাকি আসামিরা গুলি করে। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটায়। এতে বাদী হাতে আঘাত পান। ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হন।