চট্টগ্রাম: বেলটা চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও গ্লোবাল এইড ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টের (জিএএসডি) আইভিএলপি ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’-এর সহায়তায় ‘এমপাওয়ারিং এডুকেটরস: ইমপ্লিমেন্টিং এআই-এনহ্যান্সড ইনকোয়্যারি-বেসড অ্যাপ্রোচেস ইন ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সিটির প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী সেশন শুরু হয় মহিব উল্লাহর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের একজন সহযোগী অধ্যাপক, ফুলব্রাইট এফএলটিএ এবং আইভিএলপি অ্যালাম, আইভিএলপি ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ বিজয়ী। তিনি এআইকে ভাষা শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন এবং উল্লেখ করেন যে, এটি বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষণ পদ্ধতিতে বিপ্লব আনতে পারে।
কর্মশালায় অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলব্রাইট সুপারভাইজার প্রফেসর অ্যালান গডলাস। তিনি এআইয়ের ভূমিকাকে বর্তমান শিক্ষার পরিসরে অপরিহার্য হিসেবে অভিহিত করেন।
উদ্বোধনী সেশন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের ডিইএলএল বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক এবং আইভিএলপি অ্যালাম সাদাত জামান খানের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। তিনি ক্রমাগত পেশাগত উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে এআইয়ের মত উদীয়মান প্রযুক্তিগুলির সঙ্গে।
প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহকারী অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ায় পিএইচডি গবেষক এবং ইউএস এক্সচেঞ্জ অ্যালাম (ওপেন প্রোগ্রাম) সাইফ আলম এবং জিএএসডির সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ইউএস এক্সচেঞ্জ অ্যালাম এবং ফুলব্রাইট টিচিং এক্সিলেন্স এবং অ্যাচিভমেন্ট প্রোগ্রাম বৃত্তিপ্রাপ্ত সৈয়দা ফাতেমা।
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে সেশন ছিল ‘ভাষা শিক্ষার জন্য এআইয়ের পরিচিতি: ধারণা, তত্ত্ব, গবেষণা ও ব্যবহারিক প্রমাণ’,
‘ভোকাবুলারি শেখানোর জন্য এডু জিপিটি-স্ক্যাফোল্ডস: বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের ব্যবহারিক ক্লাস প্রদর্শনী ও পরবর্তী প্রতিফলনমূলক আলোচনা এবং ‘পর্যবেক্ষণভিত্তিক পাঠ পরিকল্পনা’।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০জন মাধ্যমিক পর্যায়ের ইংরেজি শিক্ষক অংশ নেন। এ উদ্যোগটি শিক্ষকদেরকে অনুসন্ধানমূলক শিক্ষার পদ্ধতিকে আরো কার্যকর করার জন্য সর্বাধুনিক পদ্ধতিগত সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।