চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে সিটির টাইগারপাসস্থ চসিকের কার্যালয়ে যোগদানের পর চসিকের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন তিনি ৷ এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রশাসককে চসিকের কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করেন৷
সভায় মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (সিডিএ) সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে হবে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও আলোকিত রাখার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও চেইন অফ কমান্ড শক্তিশালী করে নগরবাসীকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দেয়ার ব্যাপারে এগিয়ে যেতে হবে। কোন ধরনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিষ্ঠান যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’
‘বর্তমানে ডেঙ্গুর যে শঙ্কা সেটি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। মশা মারার ওষধে যাতে কোন ঘাটতি না পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মশাকে উৎস থেকে নির্মূলে কাজ করতে হবে।’
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর জোরারোপ করে প্রশাসক বলেন, ‘সিটির কিছু বর্জ্য চসিকের ব্যবস্থাপনার আওতার বাহিরে থাকায় খাল-নালায় চলে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এ জন্য পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ঠিকমত হচ্ছে কীনা, লোকজন কাজ করছে কীনা সে বিষয়ে তদারকি বাড়াতে হবে।’
‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে যা আয় হয়, তা নগরবাসীর সেবাতেই ব্যয় হয়। আয় যদি ঠিকমত না হয়, তাহলে জনগণকে সেবা দেয়া যাবে না। এ জন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে সেবার মান বাড়ে, সে বিষয়ে কাজ করতে হবে।’
প্রশাসক বলেন, ‘আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের সচল করতে পারলে বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য নগরবাসীকে আর চসিকের প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত আসতে হবে না। এ জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চলসমূহ বন্টন করে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিং করতে হবে।’
‘জনগণের মাঝে তথ্যের প্রবাহ বাড়াতে হবে। এ জন্য চসিকের ওয়েবসাইটকে হালনাগাদ রাখতে হবে ও প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিতে হবে। উন্নয়ন কাজের গুণগত মান নিশ্চিতে মনিটরিং বাড়াতে হবে। ঠিকাদার যথাযথভাবে মালামাল দিল কীনা, নির্দেশনা অনুসরণ করল কী না তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, উপ-সচিব আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম।