চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অফিস-আদালত,স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসছে। মেট্রোপলিটন এলাকার ১৬ থানারই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কাল সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালনে মাঠে নামবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) জনসংযোগ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী তারেক আজিজ সংবাদ মাধ্যমেকে জানিয়েছেন, রোববার (১১ আগস্ট) সিটির ১৬ থানার সবগুলোতেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের অনেকেই নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। কাল সোমবার থেকে যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করবে।
তিনি জানান, গেল শনিবার ১১টি থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়। গতকাল আরো চারটি থানা সচল হয়েছে। আজ রোববার (১১ আগস্ট) টানেল-পূর্ব ফাঁড়িতে পতেঙ্গা থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়।
তারেক আজিজ আরো জানান, সিটির থানাগুলোর অবস্থা সরেজমিন প্রত্যক্ষ করতে আজ রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, সিএমপির কমিশনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে থানা পরিদর্শনে নেমেছেন।
চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম রব্বানী, মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেসা, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রবিউল আলম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলামসহ বিচারকরা ৫৩টি আদালতই বসেছেন। সবগুলো আদালতে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। জামিন আবেদনের শুনানিসহ দেওয়ানি, ফৌজদারি ও ফৌজদারি বিবিধ মামলার শুনানি হয়েছে। তবে, আদালতে কারাগার থেকে কোন আসামি আনা হয়নি। সাক্ষীর উপস্থিতি ছিল কম। জিআরও শাখায় সাদা পোশাকে কিছু পুলিশ সদস্যকে দেখা গেছে। আদালতের নিরাপত্তায় আদালত ভবনে আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালন করছে।
এ দিকে, আজ রোববার (১১ আগস্ট) পূর্ণাঙ্গভাবে সবকিছু খোলা থাকায় রাস্তায় যানবাহনের উপস্থিতি বেশি থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত দায়িত্ব পালনের কারণে ট্রাফিক পুলিশবিহীন সিটিতে দীর্ঘ কোন যানজট চোখে পড়েনি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নিয়োজিত সেবকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংসহ সব কার্যক্রম চলেছে। তবে, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে কন্টেইনার পরিবহন কাজে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
গেল কয়েক দিনের ডাকাতি ও লুটপাটের আতঙ্কও কাটছে সাধারণ মানুষের মাঝে। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় সেনবাহিনী ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় উপসনালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা পালা করে পাহারা বসিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা দেয়ালে দেয়ালে নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা তাদের আঁকা ছবি ও লিখনিতে ফুটিয়ে তুলছেন।