বার্লিন, জার্মানী: তারুণ্য, অভিজ্ঞতা, গতি, কৌশল, ভাতৃত্ববোধ আর নান্দনিক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুতেই যে নয়া দিনের ফুটবলের আভাস দিয়েছিল স্পেন, তা দিয়েই একের পর এক দলকে ধরাশায়ী করে শেষ পর্যন্ত ইউরোর শিরোপা উঁচিয়ে ধরল লা রোহা। এর ফলে বদল যাওয়া ফুটবলে নবযুগের সূত্রপাত করল লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
জার্মানীর বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থ বারের মত ইউরোপসেরার মুকুট পরেছে স্পেন। টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে তারা।
অন্য দিকে, টানা দ্বিতীয় বার ফাইনালে উঠেও হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যদের। এর ফলে, আরো দীর্ঘ হল ইংল্যান্ডের ট্রফি জয়ের অপেক্ষা।
ম্যাচের ৪৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন চলতি আসরে দুর্দান্ত গতির ফুটবল খেলা নিকো উইলিয়ামস। এরপর ৭৩তম মিনিটে কোল পালমার চকিতে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও স্পেনের আক্রমণেও তোড়ে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় তাদের রক্ষণের বাঁধ। ফলে, ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে মিকেল ওইয়ারসাবালের গোলে এগিয়ে গিয়ে জয়ে ম্যাচ শেষ করে লাল জার্সির ‘ব্যান্ড অব ব্রাদার্স’।
টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করে আসরের সেরা তরুণ ফুটবলার হয়েছেন স্কুলপড়ুয়া লামিন ইয়ামাল। আর মাঝমাঠে থেকে প্রতিটি ম্যাচের রাশ নিজ হাতে ধরে রেখে টুর্নামেন্টসেরা ফুটবলার হওয়ার সম্মান অর্জন করেছেন স্পেনের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা সহ-অধিনায়ক রদ্রি।
এত দিন তিন বার করে শিরোপা জয় করে জার্মানির সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ শিরোপার রেকর্ড ভাগ করছিল স্পেন। তবে, এ দিন জার্মানিকেও ছাড়িয়ে অনন্য উচ্চতায় উঠল আধুনিক ফুটবল দিয়ে নয়া যুগ শুরু করা দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
















