চট্টগ্রাম: তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে শতকরা ৬৮ ভাগ হল কর্মক্ষম জনসংখ্যা। আবার এদের মধ্যে অধিকাংশ হল যুবক। তথ্য প্রযুক্তির নানা দিক রয়েছে, যেগুলো যুবকরা খুব সহজে বুঝতে পারে। কিন্তু, আমাদের পক্ষে বহু সময়ের বিষয়। তাই, তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি।’
শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভা কক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে সাংবাদিক আবুল মোমেন, লেখক রাশেদ রউফ, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বক্তব্য দেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য সচিব আরো বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট নাগরিক- এ চারটি স্তম্ভের উপর স্মার্ট বাংলাদেশ নির্ভর করছে। সরকার ডি-নথি, ই-লার্নিং, স্টার্টআপ, ফ্রিল্যান্সার, ক্যাশলেস সোসাইটি ও পেপারলেস অফিস করার মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের পথে এগিয়ে চলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকরা আজকের সমাজের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে রয়েছে গণমাধ্যম ও তথ্য প্রবাহের দীর্ঘ দিনের চর্চা। জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর পাশাপাশি গণমাধ্যম জাতিকে পথরেখা প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে।’
সচিব বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রথম ভূমিকা হল স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি, দর্শন, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলো জনগণের মধ্যে বিভিন্নমুখী প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশের মাধ্যমে পৌঁছানো এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে জনগণকে প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করা, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় এতে বিভিন্নমুখী প্রতিবেদন প্রকাশ করা, সময় সময় অগ্রগতিগুলো তুলে ধরা।’