চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সিভাসু কর্তৃক এর আগে উদ্ভাবিত সেবা ও নয়া ইনোভেশন আইডিয়া নিয়ে সিভাসুর ই-গভর্ন্যান্স ও ইনোভেশন টিম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে সিভাসু অডিটোরিয়ামে ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য মো: সাজ্জাদ হোসেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সিভাসুর উপাচার্য এএসএম লুৎফুল আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভাসুর ট্রেজারার মো. কামাল, সিভাসুর এপিএ কমিটির ফোকাল পয়েন্ট গউজ মিয়া। সভাপতিত্ব করেন সিভাসুর ই-গভর্ন্যান্স ও ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট মো. কবিরুল ইসলাম খান। সঞ্চালনা করেন নাইমা ফেরদৌসী হক।
অনুষ্ঠানে মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সূতিকাগার হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তাই, গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কাজ।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র্যাংকিংয়ে স্থান করে নেয়ার পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবনকে দেশের ও মানুষের কাজে ব্যবহার করতে হবে।’
মো. সাজ্জাদ হোসেন উদ্ভাবনকে ইন্ডাস্ট্রি ও ব্যবসায়-বাণিজ্যের কাজে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এএসএম লুৎফুল আহসান উদ্ভাবকদেরকে আগামীতে আরো নতুন নতুন ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে এসে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
পরে ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ প্রতিযোগিতায় জয়ীদেরকে সনদ ও ক্রেস্ট দেয়া হয়।
এর পূর্বে, সকাল নয়টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩-২৪ বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠিত হয়। সিভাসুর শিক্ষক-কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. কবিরুল ইসলাম খান, ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ, ইউজিসির সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার ও ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস।
প্রশিক্ষণ শেষে নির্দিষ্ট বিচারক প্যানেল ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ পরিদর্শন ও মূল্যায়ন করেন। প্রতিযোগিতায় মোট দশটি ইনোভেশন প্রজেক্ট দেখানো হয়।