চট্টগ্রাম: ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শ্রীকান্ত শীল (২১) অভিযোগ করেন, মো. আসিফের (২৩) সাথে ঘটনার ৩-৪ দিন আগে ইমু অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এক পর্যায়ে মো. আসিফ শ্রীকান্ত শীলকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত প্রায় আটটার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রূপনগর আবাসিক গেইটের সামনে গেলে মো. আসিফ কৌশলে শ্রীকান্তকে রূপনগর আবাসিকের আদনান ভিলার তৃতীয় তলার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। ওই স্থানে আগ থেকে আরো চারজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা উপস্থিত ছিল।
বাসায় ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে তারা শ্রীকান্তকে মারধর করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ এক হাজার ৪৫০ টাকা নিয়ে নেয় এবং তাকে জোরপূর্বক উলঙ্গ করে মো. আসিফের মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে। তখন তারা শ্রীকান্তের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ও তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দিলে শ্রীকান্তরে উলঙ্গ ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া।
শ্রীকান্ত তার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা চেয়ে না পেলে তারা শ্রীকান্তকেবাসা থেকে বের করে রূপনগর আবাসিক এলাকার গেইট হতে একটি সিএনজিতে উঠিয়ে দেয়।
পরবর্তী শ্রীকান্ত ওই ঘটনার বিষয়টি বায়েজিদ বোস্তামী থানায় জানায়। বায়েজিদ বোস্তামী থানার অভিযানিক দল শ্রীকান্তকে নিয়ে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে রূপনগর আবাসিকের আদনান ভিলার তৃতীয় তলাস্থ অভিযুক্তদের ভাড়া বাসায় গিয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে ওই স্থান থেকে কর্ণফুলী এলাকার অপর একজন ভিকটিম মো. আরমানকে (২৩) হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তী ভিকটিমের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)/৮ (২) মামলা রুজু হয়।