হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উদ্যোগে নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। এ দিন বেলা ১১টায় চবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সবার স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে চবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে চবির বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধু চত্বরে চবির উপাচার্যের রুটিন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মো. সেকান্দর চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, চবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ নাসিম হাসান এবং সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) মোহাম্মদ হোসেন।
মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের সূচনার কিছু দিনের মধ্যেই ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকার; যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান উপজেলা ‘মুজিবনগর’) গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নিয়েছিল। সে বিশাল আমবাগান এলাকা পরে ‘মুজিবনগর’ নাম নিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষিত হয়েছিল। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে স্বাধীন বাংলা অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশে ও বিদেশে এ যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায় ও জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্ব মানচিত্রে যত দিন বাংলাদেশ থাকবে ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীণতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে।’
জাতির পিতার স্বপ্ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মাট বাংলাদেশ’ বির্নিমাণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান মো. সেকান্দর চৌধুরী।