চট্টগ্রাম: সাগরিকা পশুর হাটের পশ্চিম পাশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) এক একর জায়গায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক কসাইখানা নির্মাণের ব্যাপারে চসিক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে৷ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে সিটির টাইগারপাসস্থ চসিকের কার্যালয়ে সিটির মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন৷
কসাইখানাটিতে দুইটি পৃথক লাইনে একইসাথে প্রতি ঘন্টায় ২৫টি গরু-মহিষ এবং ৬০টি ছাগল জবাই ও প্রক্রিয়াজাত করা যাবে৷ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে সম্পূর্ণ হালালভাবে পশু জবাই করা যাবে।কসাইখানায় জবাই করা পশুর মাংসে রক্ত-পানি জমে থাকবে না বিধায় ক্রেতারা মাংস কিনে লাভবান হবেন৷
অনুষ্ঠানে মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর জানতে পারি, বিভিন্ন জটিলতায় এ প্রকল্পের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে সমস্যাগুলো নিরসণ করায় এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে৷’
তিনি আরো বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে আধুনিক এ কসাইখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷ এটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে সিটির যেখানে-সেখানে পশু জবাই বন্ধ হবে। এতে পরিবেশ দূষণ কমে আসবে। রোগ-বালাই আছে এমন গরু জবাই করা বন্ধ হবে। বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রক্রিয়াকৃত মাংস খেতে পারবে নগরবাসী৷’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার চান৷ এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সচেতন জনগণ এ কসাইখানা থেকে জবাই করা পশুর মাংসই খেতে চাইবেন৷ কারণ, এ কসাইখানায় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মাংস প্রক্রিয়া যাবে৷ রোগ-জীবাণু ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাবে এ কসাইখানা৷ এছাড়া, এখানে জবাই করা পশুর চামড়াও থাকবে একদম নিখুঁত৷’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোবারক আলী, চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহীন উল ইসলাম, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন।