চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন তৈরি হওয়ার পর চকরিয়া-চট্টগ্রাম রুটেও চলবে ট্রেন। দেড় ঘন্টায় চট্টগ্রাম থেকে চকরিয়া এবং দুই ঘন্টায় চট্টগ্রাম- কক্সবাজার যেতে পারবেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। একই সাথে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানা গেছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী বছরের(২০২৩ সালের) শেষের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামেরও যোগাযোগ এবং পর্যটন খাতে আমূল পরিবর্তন আসবে। সড়ক পথে এখন কক্সবাজার যেতে যেখানে সাড়ে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা লাগে সেখানে ট্রেনে যেতে লাগবে মাত্র ২ঘন্টা। বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রতিটি ট্রেন এখন প্রতি মিনিটে ১কিলোমিটার চলে। কক্সবাজার নতুন রুট হিসেবে একটু বাড়তি স্পীডে চলবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার। অপরদিকে কদমতলী থেকে দোহাজারী ৪৫ কিলোমিটার। এই রুটে ট্রেন ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চললে দুই ঘন্টার বেশি লাগবেনা বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী চট্টগ্রাম নিউজকে জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ শেষ হলে আমরা চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি ট্রেন দেবো। তখন চকরিয়ার লোকজন দিনে চাকরি করে দিনে চলে যেতে পারবে। আর শহরে থাকতে হবেনা। এক ঘন্টায় চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম আসতে পারবে। যদি একটু বেশিও লাগে সবোর্চ্চ ৯০ মিনিট পর্যন্ত লাগতে পারে। আর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে সময় লাগকে ২ ঘন্টা মাত্র। এখন আমাদের ১মিনিটে ১ কিলোমিটার চলে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার নতুন রেল লাইন এই রুটে একটু বেশি চলবে। ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলছে সবোর্চ্চ ২ঘন্টা লাগবে। চকরিয়া থেকে যদি সকাল ৭টায় ট্রেনে উঠে কদমতলী ৯টায় নেমে গেলেও অফিস করতে পারবে। বিকাল ৫টা বা সাড়ে ৫টায় কদমতলী থেকে ট্রেনে উঠলে ৭টা বা সাড়ে ৭টায় চকরিয়া পৌঁছে যাবে। কথা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের সর্বশেষ বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনের এখন ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
আগামী বছরের শেষের দিকে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে এবং কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলার ব্যাপারে আমারা আশাবাদী। যদি কোন কারনে না হয় তাহলে ২/৩ মাস হয়তো একটু এদিক-ওদিক হতে পারে। করোনাকালীন সময়ে কাজের কোন সমস্যা হচ্ছেনা। কারনে গ্রুপ ভিত্তিক কাজ চলছে। শ্রমিকরা কোথাও যায়নি। কাজ শেষ করে ঐখানেই থাকেন। কক্সবাজার সাইটে ব্রিজ-কালভার্ড ৮৫ থেকে ৮৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামের দিকে ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।