বাংলাদেশ আওয়াামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি তরুণ নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সংগঠনে যারা বয়োজ্যেষ্ঠ-সম্মেলনে তাদের আরও উঁচু পদে নিয়ে যাওয়া যায়। যারা দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ করে ৪০ ও ৫০ বছর পার করেছেন তাদের দলের মধ্যে (আওয়ামীলীগের কমিটিতে) নেওয়া হবে। তরুণ নেতৃত্বেকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমাদের দরকার নবীণ ও প্রবীণের সমন্বয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা। বিষয়টি নগরের নেতাদের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি আর বলেন, দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন, বিশেষ করে দলের প্রতীক নৌকা যারা পেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছে, তাদের দলের কোনো পদে রাখা হবে না। সম্মেলনে সময় সবাইকে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
আজ সোমবার (২১ জুন) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মহানগর আওয়ামী লীগের সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিনিময় সভায় মাহবুব উল আলম হানিফ এ সব কথা বলেন।
প্রথমে সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যকারী সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় সম্পাদক মন্ডলীর সাথে এবং বিকাল ৩টায় মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতিদের সাথে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রতিটি বৈঠকে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
দলে যোগদানের বিষয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ বড় সংগঠন। দেশে লাখো, কোটি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের রয়েছে। সে হিসেবে দলে যোগদানের খুব বেশি প্রয়োজন নেই। তারপরও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে বিশ্বাসী হলে এবং শ্রদ্ধাশীল হলে, যার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নেই, অনৈতিক কোনো কাজের অভিযোগ নেই, সমাজের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, কেন্দ্রের অনুমোদন সাপেক্ষে যোগদান করা যেতে পারে।
মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমরা চট্টগ্রামের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে গত দুইদিন টানা বৈঠক করেছি। এখানে সংগঠনের যে শক্তিশালী অবস্থান দেখেছি-দেশের যে কোন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম অনেক বেশি শক্তিশালী। একানে কোন গ্রুপিং নেই। চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির অনুপ্রেরনার স্থান। চট্টগ্রামকে আমরা সব সময় আওয়ামীলীগের দুর্গ হিসেবে মনে করি। আমরা চাই এই শক্তি আরও বৃদ্ধি পাক। সকল আন্দোলন-সংগ্রামে চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, আগামী জুলাই মাসে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির নির্দেশনা আছে। আগস্ট শোকের মাস। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে প্রতিটি ইউনিট ও ওয়ার্ড সম্মেলন করবো। নভেম্বরে থানা সম্মেলন শেষ করতে চাই। এরপর ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থেকে সময় নিয়ে মহানগর সম্মেলন করবো।
প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেন, এই চট্টলা স্বাধীনউত্তোর অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি আন্দোলনে মহিউদ্দিন চৌধুরী সর্বাগ্রে ভূমিকা নিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরী দেখিয়েছিলেন আন্দোলন কিভাবে করতে হয় ও ন্যায্য দাবি কিভাবে আদায় করতে হয়। চট্টগ্রামের আন্দোলন সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে মত-বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মত-বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এম.পি, প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদের, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, অর্থ পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এম.পি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এম.পি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইসহাক।
সকাল সাড়ে ১১টায় সম্পাদক মন্ডলীর সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, আলহাজ্ব বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, দিদারুল আলম চৌধুরী, যুবায়রা নার্গিস খান, আবদুল আহাদ, মো: আবু তাহের, ইঞ্জি: মানস রক্ষিত, ডা: ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, হাজী শহীদুল আলম।
সকাল সাড়ে ৯টায় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এম এ জাফর, মো: আবুল মনসুর, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, নুরুল আমিন শান্তি, ইঞ্জি: বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, গাজী শফিউল আজিম, কামরুল আজম বুলু, নুরুল আবসার মিয়া, বখতেয়ার উদ্দিন খান, জাফর আলম চৌধুরী, হাজী দোস্ত মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, মহব্বত আলী খান, আবদুল লতিফ টিপু, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, মোহাম্মদ জাবেদ, হাজী বেলাল আহম্মদ, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী।