করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ঈদকে সামনে রেখে কঠোর লকডাউন শিথিল করায় দূরপাল্লার বাস স্ট্যান্ড, ট্রেন ও লঞ্চ ঘাটে মানুষের চাপ বাড়ছে। রেল স্টেশন, ফেরিঘাট ও বাস টার্মিনাল গুলোয় মানুষের জটলা তৈরি হয়েছে। লোকাল বাসের বাসস্ট্যান্ডে টিকিট কাউন্টারগুলোয় পরিবহন কর্মীদের যাত্রী ডাকার হাঁকডাকের পুরনো চিত্রও ফিরে এসেছে।
টানা ১৪ দিন বন্ধের পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গণপরিবহন, লঞ্চ ও রেল চালু হওয়ায় রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়কে যানজটে পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার পরও রাজধানীর বিভিন্ন সিগন্যালে যানজট দেখা গেছে।
এদিকে সড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় যানজট তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিন পল্টন, গুলিস্তান, নিউমার্কেট ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহনের চাপে ট্রাফিক সিগন্যালগুলোর মুখে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।মাত্র দুদিন আগেও কঠোর লকডাউনের কারণে গণপরিবহন, মার্কেট-শপিংমলসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচল সীমিত থাকলেও গতকাল থেকে রাস্তায় গণপরিবহন ও মার্কেট খুলে যাওয়ায় যানবাহনের সংখ্যা অনেকগুণ বেড়েছে।
কঠোর লকডাউন চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ার বিধিনিষেধ থাকলেও শিথিলতা আসায় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হাজার হাজার মানুষ এখন বাইরে বের হচ্ছেন।
অনেকেই নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। কেউবা মার্কেটিং করতে ছুটছেন ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোটবড় শপিংমল ও দোকানপাটে। মার্কেটের আশপাশের রাস্তায় বেশি যানজট দেখা যায়।
শুক্রবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড, সদরঘাট, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজট দেখা যায়। এসব এলাকার বিভিন্ন পাইকারি মার্কেট আজ খোলা থাকায় যানজট বেশি হয়। কোথাও কোথাও ১৫ মিনিটের পথ যেতে এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন যানবাহনের মানুষকে গরমে ঘামে ভিজতে দেখা যায়। সদরঘাট থেকে গুলিস্তান এলাকায় গণপরিবহনের পাশাপাশি ঘোড়ার গাড়িতেও লোকজন চলাচল করতে দেখা যায়।
পুরনো ঢাকার বেশিরভাগ রাস্তায় যানজট থাকলেও শহরের অন্যান্য রাস্তায় যানজট অপেক্ষাকৃত কম ছিল। তবে মার্কেট এলাকার আশপাশের রাস্তায় বেশি ভিড় লক্ষ করা যায়।
