বিএনপি স্থানীয় কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের কারণে সবকিছু স্থবির হয়ে আছে, তাই ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দিতে হবে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মিসকালতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পার বাবা সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় আমির খসরু আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের সব মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। একটি গোষ্ঠী পরাজিত হবে জেনে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘জাফরুল ইসলাম চৌধুরী শুধু সৎ, যোগ্য ও গণমানুষের নেতা ছিলেন না, তিনি একজন সংগ্রামী ব্যক্তি ছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়েছে, তার প্রতিটি মুহূর্তে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী তার পাশে ছিলেন। যখন খুবই কঠিন সময়, মানুষ ভয়ে জীবন যাপন করছিল। তখনও জাফরুল ইসলাম চৌধুরী কর্ণফুলীর সেতুর উভয়পাড়ে, বাঁশখালীসহ সব কর্মসূচিতে তার লোকজন নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন। মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত, অসুস্থ অবস্থাতেও তিনি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
বাঁশখালীর জনগণ যে নেতা পেয়েছিলেন, তিনি আজ নেই। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। তার কথা মনে রেখে আগামী বাঁশখালী কোন দিকে যাবে, আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ধানের শীষের প্রার্থীর মাধ্যমে জাফরুলের নেতৃত্ব ও রাজনীতির ধারাবাহিকতা বহন করবে তার সন্তান মিশকাতুল ইসলাম পাপ্পা।’
আমীর খসরু নিশ্চিত করেন, মিশকাতুল ইসলাম পাপ্পার নেতৃত্বে বিএনপির রাজনীতি, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনীতির পথ অনুসরণ করে বাঁশখালী পরিচালিত হবে।
নির্বাচন ব্যাহত করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিগত দিনের পরাজিত শক্তি কখনোই নির্বাচনে জিততে পারবে না। তাই, তারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে এবং দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য জনগণের ১৭ বছরের ত্যাগকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।’
‘সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে এবং নির্বাচনের কর্মসূচি পরিপূর্ণভাবে পালন করতে হবে। জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে, দুয়ার-দুয়ার যোগাযোগ করতে হবে, মা-বোনদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে এবং ধানের শীষের জোয়ার পুরো দেশে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
















