চট্টগ্রাম: ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসা ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস সুনিশ্চিতভাবেই পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের একটি মাইলফলক দিবস। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপ্যাপন উপলক্ষে দিবসটির আগেই বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও বুধবার (২৫ জুন) (৫ জুন সরকারি ছুটি থাকায়) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপিত হয়েছে। পরিবেশ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিট প্লাস্টিক পলিউশন’, যার বাংলা ভাবার্থ করা হয়েছে ‘প্লাষ্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়”। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্র্তৃক দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় পর্যায়ের সাথে সমন্বয় করে মাসব্যাপী বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়। মাসব্যাপী বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির মধ্যে ছিলো রচনা ও স্লোগান প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান, পরিবেশ বিষয়ক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
বুধবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন। বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজ সঞ্জয় সরকার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মো. মনজুরুল কিবরীয়া।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবির ফ্যাকাল্টি অব মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজজের ডিন প্রফেসর মো. শাহাদাত হোসেন,
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক জমির উদ্দিন এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক সোনিয়া সুলতানা। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অতিথিরা প্লাস্টিক দূষণের প্রতিকার ও প্রতিরোদের নানা দিক তুলে ধরেন। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন, স্লোগান, রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও বই বিতরণ করা হয়।