চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১২ আসন (পটিয়া) সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডাক্তার ফরিদুল আলম বলেছেন, ‘পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ১৭টি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করব। পটিয়ার মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পোঁছে দেবো। মানবসেবা নিশ্চিত করে জনগণের কাছে যাবো।’
গতকাল বুধবার (১৪ মে) রাতে সিটির একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের অবস্থানরত জনশক্তি নিয়ে প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনিয়ম, দুর্নীতি ও চুরিকে নিমূল করার ঘোষণা দিয়ে অনুষ্ঠানে ফরিদুল আলম বলেন, ‘ভোট কেনাবেচার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। মানবসেবার রাজনীতি চর্চা করতে হবে। মানবসেবার মাধ্যমে মানুষের হৃদয় জয় করব। নির্বাচনে জয়লাভ নয়, জনগণের হৃদয়ে জয়লাভের মধ্য দিয়ে রবের সন্তুষ্টি ও রাসূলের (সা.) আদর্শ বাস্তবায়ই আমাদের মূল্য লক্ষ্য।’
গত ১৫ বছর দেশে মেধা পাচার হয় গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মেধা শূন্য রাজনীতি বাংলাদেশ কে ধ্বংস করেছে। সেই ধ্বংসের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি দেশব্যাপী কাজ করছে।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মানজারে খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগরী ব্যাংকার্স ফোরামের নায়েবে আমীর আখতার হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম (চেয়ারম্যান, সিরামিক ডিপার্টমেন্ট, বুয়েট), চট্টগ্রাম-৯ আসনের জামায়াত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডাক্তার ফজলুল হক, ইঞ্জিনিয়ার লোকমান কবীর, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলি) আসনের জামায়াত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মুমিনুল হক, আহমদ নূর, এসএম মহিউদ্দিন, মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, এসএম. নাসির উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার এয়াকুব নবী, আব্দুল মাবুদ, মুহাম্মদ ইকবাল, এডভোকেট শামসুল আলম, ইয়াসিন আরাফাত, ডাক্তার নাসির উদ্দিন, নিউরোসার্জন ডাক্তার ইসমাইল হোসেন, ডাক্তার ইরফান, জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তুতি নিয়ে জনশক্তিদের উদ্বুদ্ধ করেন। তারা বলেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের খেদমত-ই জামায়াতের উদ্দেশ্য। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহর রাসূলের (সা.) আদর্শকেই তারা মুখ্য আদর্শ হিসেবে লালন করতে চাই। যে উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে ছাত্র-জনতা বিপ্লব ঘটিয়েছে বৈষম্যহীন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসমুক্ত, জনকল্যাণমূলক চিন্তার আলোকে আমরা সমাজ গড়তে চাই।’