চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ল রিফর্ম-এ কমপ্যারাটিভ অ্যাপ্রোচ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল পার্সপেকটিভস: বাংলাদেশ ইন কনটেক্স’ শীর্ষক ষষ্ঠ একে খান স্মারক আইন বক্তৃতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চবির একে খান আইন অনুষদ মিলনায়তনে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে এটি অনুষ্ঠিত হয়। চবির আইন অনুষদ এবং একে খান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চবির উপাচার্য মো. আবু তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য এবং একে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এএম জিয়াউদ্দিন খান। চবির আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটি ল স্কুলের ইন্টারন্যাশনাল এন্ড বিজনেস ল’র চেয়ার প্রফেসর এএফএম মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন চবির আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর রকিবা নবী। চবির আইন বিভাগের প্রফেসর মুহাম্মদ মঈন উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চবির আইন বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খালেদ ও মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী।
উপাচার্য গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বিষয়ে স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই চবির আইন অনুষদ এবং একেখান ফাউন্ডেশন আইন বিষয়ে যৌথভাবে স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে থাকে; যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আজকের এ স্মারক বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইনের সংস্কার এবং এর প্রয়োগ সম্পর্কে তুলনামুলক আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা উঠে এসেছে।’
মো. আবু তাহের আরো বলেন, ‘এএফএম মনিরুজ্জামান তার উপস্থাপিত আইন সংস্কার-একটি তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের আইন সংস্কার নিয়ে সময়োপযোগী গবেষণাধর্মী প্রবন্ধে আন্তর্জাতিক আইনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের আইন সংস্কারের তুলনামূলক আলোচনা ও সামগ্রিক আইনের উৎকর্ষ সাধনে ভবিষ্যতের জন্য দিকনির্দেশনা রয়েছে।’
প্রবন্ধকারের এ আলোচনা এবং পর্যালোচনায় আমাদের শিক্ষক-গবেষক, আইনজ্ঞ এবং শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত পাবেন বলে উপাচার্য প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য আরো বলেন, ‘শিক্ষকরা জাতির বিবেক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ অ্যাক্টে শিক্ষকদের যে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন, তা মনে রাখতে হবে।’
তিনি শিক্ষকদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে দেশ-জাতির কল্যাণে জ্ঞান-গবেষণায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে চবির আইন বিভাগের প্রফেসর মো. মোর্শেদ মাহমুদ খান উপস্থিত ছিলেন।
















