চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটতে নিখোঁজের দুই দিন পর বন্ধুদের মেস থেকে জুনায়েদ হোসেন জিসান (২১) নামের মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত দশটার দিকে সিটির বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাজীরপুল সওদাগর কলোনির ডাক্তার রফিকের ভবনের চার তলা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত জিসান চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেবপুর গ্রামের প্রবাসী আবু জাফরের ছেলে। তিনি পটিয়া উপজেলার আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া জমিরিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র। বাসাটির অদূরেই জিসান তার ছোট ভাই ও মায়ের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবারের দাবি, জিসানকে হত্যা করা হয়েছে। নিখোঁজের পর দুর্বৃত্তরা দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল। পরিবার এ খুনের বিচার চেয়েছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানিয়েছে, জিসানের বাবা দুবাইপ্রবাসী। তার মা জেসমিন আক্তার দুই সন্তানকে নিয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাজীরপুল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। জিসান ২০ রমজান পর্যন্ত চান্দগাঁওয়ের একটি মসজিদে খতম তারাবির ইমামতি করেছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হন জিসান। রাত দশটার দিকে বাসায় না ফেরায় তার মা ফোন দিলে কেটে দেন। রাতদ সাড়ে ১১টার দিকে তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এক ব্যক্তি। জিসানের মা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পাশে বন্ধুদের একটি মেসে জিসানের যাতায়াত ছিল। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে জিসানের এক মামাকে নিয়ে ওই মেসে যান। সেখানে বাথরুমে জিসানের লাশ পাওয়া গেলে পুলিশে সংবাদ দেয়া হয়। এ সময় বাসায় কেউ ছিল না।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মায়ের সাথে রাগারাগি করে জিসান বাসা থেকে বের হয়ে যান। সুরতহাল করার সময় জিসানের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘লাশের শরীর ফুলে গেছে। কয়েক দিন পূর্বেই তার মৃত্যু হতে পারে।’
জিসানের চাচাতো ভাই শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘জিসানের ফোন থেকে একজন ফোন করে জানায়, জিসানকে পেতে হলে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। বন্ধুরা দুষ্টুমি করছে মনে করে তার মা ব্যাপারটি পাত্তা দেননি।’
তিনি বলেন, ‘ওই বাসায় মিশকাত নামে একটি ছেলের সাথে জিসানের ওঠাবসা ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে কয়েক বার আসা-যাওয়া করতে দেখা গেছে।’
			
		    















