হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: ‘সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ ও দীর্ঘ মেয়াদী সুনীল অর্থনীতির প্রসারে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে চবি প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার উদ্যোগে চার দিনের (৭-১০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন ২০২৪ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চবির ব্যবসায় প্রশাসন অডিটরিয়ামে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে চবির মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম, আইন বিভাগের প্রফেসর এবিএম আবু নোমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মেরিন সায়েন্সস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, চবির সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় ও নাজেমুল আলম মুরাদ উপস্থিত ছিলেন। অতিথি ছিলেন কলকাতা ইউনিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কৃতি সরকার।
বেনু কুমার দে সম্মেলনে আলোচ্য বিষয় হিসেবে একটি সমযোপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে নির্বাচন করায় আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান ও সমুদ্র বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ হচ্ছে সমুদ্র। এ সম্পদ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বৈশ্বিক সহযোগিতারও প্রয়োজন।’
বেনু কুমার দে আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সম্পদ রক্ষায় আমাদের সমুদ্র বিজ্ঞানীসহ সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
চার দিনের এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী তরুণ গবেষকদের উপস্থাপিত বিষয়গুলো আলোচনা-পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে দেশের সমুদ্র সম্পদ রক্ষার নীতি-নির্ধারণসহ সমুদ্র সম্পদকে ঘিরে সূনীল অর্থনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বেনু কুমার দে দেশের সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী তরুণ শিক্ষার্থীসহ দেশের সমুদ্রবিজ্ঞানের শিক্ষক-গবেষকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবির প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার হেড অব রিসার্স নাহিয়ান নারা। সম্মেলন আগামী শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত চলবে।
বলে রাখা ভাল, বাংলাদেশের অন্যতম এ প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলনের চার দিনের আয়োজনে বিতর্ক, কূটনীতি ও আলোচনা সভায় চবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ-বিদেশের প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এ সম্মেলনে জাতিসংঘের দশটি কমিটিতে শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের কর্মপরিধির আলোকে আলেচনায় অংশ নেবে। কমিটিগুলোর মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ ও বিস্তাররোধ বিষয়ক পরিষদ, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা, পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক সংস্থা, আর্কটিক কাউন্সিল, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা। এবারের এ সম্মেলনে অংশ নেয় ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া ও সিয়েরা লিওনসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা।
সম্মেলনের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল জিদান, উপ-মহাসচিব মো. তারিক মনাওয়ার ও মহাপরিচালক ইসফাকুল কবির আসিফসহ ৯৪জন বিশিষ্ট সেক্রেটারিয়েট গঠিত হয়েছে। এবারের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্ট্রেটেজিক পার্টনার জাতিসংঘ বাংলাদেশ ও সহযোগী পার্টনার হিসেবে সার্বিক সহায়তা করছে ভাইয়া গ্রুপ, এএইচজেড এসোসিয়েটস, অ্যাসপায়ারিং বাংলাদেশ, টিচ ফর বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার।
চবি প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তথা পুরো বাংলাদেশের সহশিক্ষা কার্যক্রমের জগতে অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করছে। ২০১৪ সালে চবিতে এ ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকে এ ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কূটনীতিক কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেয়ার পাশাপাশি নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখে চলছে।
















