দেশে বইছে মাঘ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। তবে দুদিন ধরে চট্টগ্রামের আকাশ মেঘের দখলে। মেঘ-বৃষ্টির সঙ্গে হিমেল বাতাসে চট্টগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়েছে। ফলে নিম্ন ও অসহায় মানুষকে পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে।
সোমবার বিকালে পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত আধ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে শূন্য দশমিক এক মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে সোমবার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও হালকা বৃষ্টি হলেও আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকালের মধ্যে আকাশ আর মেঘলা থাকবে না। বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।
এদিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। নগরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র, সামাজিক অনুষ্ঠান ও অফিস-আদালতগামী মানুষ নাকাল হয়েছে বৃষ্টির কারণে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মাঘ মাসের শুরুতে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে আসা মেঘের দল উত্তরাঞ্চল দিয়ে দেশের সীমানায় প্রবেশ করেছে। মেঘ এসে ওই পথে বাধার প্রাচীর তৈরি করে। ফলে শীতের ঠাণ্ডা বাতাস দেশের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। পরে আকাশে জড়ো হওয়া ওই মেঘ থেমে থেমে ঝিরিঝিরি বা গুঁড়ি গুঁড়ি আকারে ঝরে পড়তে শুরু করে।
উত্তরের হিমালয় পর্বতমালা ও তিব্বত থেকে বাতাস বাহিত হওয়ার কারণে এই বাতাস এমন হিম ঠাণ্ডার অনুভূতি দেয়। তবে তীব্র শীত বা শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই চট্টগ্রামে। যদিও কথায় আছে, ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’ তবে চট্টগ্রামের আবহাওয়ার জন্য তা মোটেও সত্যি নয়।
















