একজন মেধাবী, প্রাজ্ঞ, বুদ্ধিদীপ্ত অসাধারণ গুণী মানুষ হয়েও অধ্যাপক মো, খালেদ একেবারে নিরহংকারী বিনয়ী জীবন যাপন করতেন। অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষ হয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ সাধারণ জীবনাচার মেনে চলতেন।
তার মধ্যে কখনো কোন ধরণের অহংবোধ ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্টজনদের মধ্যে অধ্যাপক মো. খালেদ ছিলেন উল্লেখযোগ্য একটি নাম।
তাদের মতো নিখাদ ত্যাগী নিবেদিত রাজনীতিকের শ্রম মেধা ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে আছে আজকের আওয়ামী লীগের ভিত্তি। আওয়ামী আদর্শিক কর্র্মী সৃষ্টিতে অধ্যাপক মো. খালেদের অবদান অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা সাবেক এমএনএ ও এমপি, দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মো খালেদের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ২১ ডিসেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্ব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসন সাংসদ মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপি বলেন, প্রজন্মের মাঝে গণতন্ত্রের চর্চা সমুন্নত রাখতে হলে, প্রজন্মকে মননে-মানসিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হলে তাদেরকে সংবিধান সম্পর্কে জ্ঞান দান করতে হবে।
দেশসেরা ৩২ জন প্রাজ্ঞজন বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধান রচনা করেছেন। এদের মধ্যে অধ্যাপক মো খালেদ ছিলেন অন্যতম। মূল সংবিধানে আমাদের অভিভাবক অধ্যাপক খালেদের স্বাক্ষর রয়েছে।
তিনি আমাদের অহংকার। সুস্থ সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতির জনকের নেতৃত্বে নিরলস কাজ করে গেছেন অধ্যাপক মো খালেদের মতো ত্যাগী মানুষেরা। আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গঠনে অধ্যাপক মো খালেদের মতো মানুষদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে।
স্মরণ সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মানুষকে সম্মান সমীহ করতে জানতেন অধ্যাপক মো খালেদ। আমার পিতার সাথে উনার আত্মার সম্পর্ক ছিল।
আমার বাবা যখন পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হয়ে সিলেট কারাগারে অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন। তখন আমার বাবা অধ্যাপক মো. খালেদের উপরই একমাত্র আস্থা রেখেছিলেন। আমাকে মারফতে উনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। স্মরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো আতাউর রহমান আতা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মো মাঈনুদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক মো খালেদের সন্তান শ্লোগান পত্রিকার সম্পাদক মো জহির।
এছাড়াও সভায় উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ, মহানগর উত্তর ও দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এড. জহির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আইন বিষয়ক সম্পাদক এড: মির্জা কছির উদ্দিন, খোরশেদ আলম, ধর্ম সম্পাদক আবদুল হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, দিদারুল আলম চৌধুরী, আলাউদ্দিন সাবেরী, আবদুল কাদের সুজন, বোরহান উদ্দিন এমরান, নাজিম উদ্দিন তালুকদার, আবু জাফর, আ স ম ইয়াছিন মাহমুদ, গোলাম রব্বানী, সরোয়ার হোসেন দুলু, বেদারুল আলম চৌধুরী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হোসেন তপুসহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
















