৯টি ধাপে নগরীতে টেকসই ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এই লক্ষ্যে ৭ নম্বর পশ্চিম শুলকবহর ওয়ার্ডে ৮০টি বাড়ির ৩০০ পরিবারকে নিয়ে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া : প্রথমত কমিউনিটির মানুষকে যুক্ত করে বর্জ্য সংগ্রহ পদ্ধতি, পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার মাধ্যমে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা। দ্বিতীয়ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টিম গঠন করে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা। ৮০টি বাড়ির সামনে ঢাকনাযুক্ত আবর্জনার বিন স্থাপন। নিয়মিত কমিউনিটির অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম। ডাম্পিং করার আগে বর্জ্য থেকে উৎপাদনশীল খাত তৈরি করা। কলোনির ড্রেনের উপর স্ল্যাব নির্মাণ করা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেবকদের মাধ্যমে পলিথিনে মুড়িয়ে বর্জ্য অপসারণ। বর্জ্য পরিবহনের জন্য ভ্যান, ট্রলির ব্যবস্থা করা এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন। আগামী ৬ মাস পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প চলবে। পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালিত এই প্রকল্পের কাজ চলার সময় প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন করা হবে।
যেসব খাতে এওয়ার্ড দেওয়া হবে : একইসাথে সেবার খাতে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর অন্তত ১০টি খাতে মেয়র এওয়ার্ড প্রদান করা হবে। খাতসমূহ হল, ইয়ুথ আইকন এওয়ার্ড, সিটি লিডার এওয়ার্ড (বেস্ট কাউন্সিলর এওয়ার্ড) আর্বান ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড (বেস্ট ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড) ওমেন লিডারশিপ এওয়ার্ড। রিসার্সারস, প্র্যাকটিশনার্স, কমিউনিটি গ্রুপ, ইনস্টিটিউশন, নেটওয়ার্কস এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন বেস্ট ইনোভেশন এওয়ার্ড।
কমিটি গঠন : সিটি মেয়র প্রতিবছর এওয়ার্ড কমিটি গঠন করে দেবেন। ওই কমিটির মাধ্যমে সেরাদের নির্বাচিত করা হবে। কমিটিতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ওই সেক্টরের একজন এক্সপার্ট (সিটি কর্পোরেশনের)। একজন কাউন্সিলর, দুইজন আর্বান এক্সপার্ট, একজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, একজন শিক্ষাবিদ, পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি, একজন স্থানীয় এনজিও প্রতিনিধি, একজন মেয়রের প্রতিনিধি, সেভ দ্যা চিলড্রেন/ইপসার প্রতিনিধি থাকবেন। প্রতিবছর পত্র-পত্রিকা এবং অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করা হবে। কমিটি যোগ্যদের বাছাই করে মেয়রের কাছে তালিকা দেবে। এরপর মেয়র চ‚ড়ান্তভাবে নাম ঘোষণা করবেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই এওয়ার্ডের জন্য ইপসা সহযোগিতা করবে। সেভ দ্যা চিলড্রেন এবং ইপসা এওয়ার্ড প্রদানের অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রচারণার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, একটি সাধারণ জনগোষ্ঠীকে এই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা পালনে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষকে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কখনো নাগরিক সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন ছাড়া সফল হতে পারে না। সমাজের সার্বিক মঙ্গলের বিষয়টি আমলে নিয়ে সবাই চলে বলেই উন্নত বিশে^র নগরগুলো সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও নাগরিকবান্ধব। তাই আমরা যারা নগরে বসবাসকারী তাদের কিছু আইন, নিয়ম ও শৃঙ্খলা মানতই হবে। পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে নবীনগরকে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আনার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা এই বার্তাটি দিতে চাই তা হল, বর্জ্যও সম্পদ। এই প্রকল্প সফল হলে তা পুরো শহরে বাস্তবায়ন করা হবে।
চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, সেবাখাতে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই এওয়ার্ড সেবকদের মাঝে উৎসাহ যোগাবে। এখানে সনদের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও পুরস্কৃত করা হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন এবং ইপসা এই প্রকল্পে সহযোগিতা করছে।
















