ঢাকা : সরবরাহ বাড়ায় ঢাকার বাজারে কমেছে শাক-সবজির মূল্য। তবে, আমদানির পরও স্বস্তি ফেরেনি পেঁয়াজের বাজারে; বিক্রি হচ্ছে বাড়তি মূল্যেই।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারসহ আশেপাশের কয়েকটি বাজারঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে অস্থিরতা কমাতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ভারত থেকে দেশে আসছে পেঁয়াজও। এছাড়া নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় বাজারে বাড়ছে সরবরাহ। আমদানির সংবাদে মাঝে কয়েক দিন দাম কমলেও ফের চড়া হয়েছে পেঁয়াজের বাজার।
বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি পুরান দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ১৪০ টাকা ও নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের জন্য গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে।
ক্রেতারা বলছেন, ‘আমদানির পরেও বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম। অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লুটে নিচ্ছে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আমদানি করার পরও চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই, পেঁয়াজের দাম কমছে না। পাইকারিতে বর্তমানে প্রতিকেজি পুরান দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা ও নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
এদিকে, বাজারে কমতে শুরু করেছে আলুসহ অন্যান্য সবজির মূল্য। বাজারে প্রতিকেজি বরবটি ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শালগম ৪০-৬০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকা, গোল বেগুন ৪০-৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা ও শসা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি নতুন আলু ৩০-৪০ টাকা ও পুরান আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। আর মাঝারি আকারের প্রতিপিস, বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, ‘বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে।’
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। এতে বেশিরভাগ সবজির দাম কমে এসেছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে সামনে অন্যান্যগুলোর দামও কমে আসবে।’
তবে, স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির মূল্য। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে।
ঢাকার বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বেড়ে অধিকাংশ সবজির দাম কমতে শুরু করলেও পেঁয়াজের বাজারে এখনও স্থিতিশীলতা ফিরেনি। আমদানি বাড়ানো ও নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করলেও খুচরা বাজারে মূল্য কমছে না—যা বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, চাহিদা–সরবরাহের অসমতা এবং সম্ভাব্য মুনাফাখোরির ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, আলু ও বিভিন্ন সবজির দাম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ধারায় ফিরলেও পেঁয়াজের অস্থিরতা ক্রেতাদের জন্য বড় চাপ হয়ে রয়ে গেছে। মুরগির বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল। সার্বিকভাবে, সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নত হলেও পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বাজারে স্থায়ী স্বস্তি ফিরতে বাধা দিচ্ছে।
















