ঢাকা: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
এর আগে গেল ৪ জুন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক সফর সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হবে এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মুহাম্মদ ইউনূসকে রাজা তৃতীয় চার্লস ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর জন্য মনোনীত করেছেন। জনগণ এবং পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থায়িত্ব ও সম্প্রীতি প্রচারে তার আজীবন কাজের সম্মানার্থে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হবে।
আগামী বৃহস্পতিবার (১২ জুন) লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য কিংস ফাউন্ডেশন তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলসের প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা। প্রতি বছর টেকসই উন্নয়ন এবং মানবিক কারণে অনুকরণীয় সাফল্য অর্জনকারী ব্যক্তিদের এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দেয় দ্য কিংস ফাউন্ডেশন।
সফরকালে ড. ইউনূস কমনওয়েলথ ওি আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিবদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন।
তিনি ১১ জুন রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স চ্যাথাম হাউসে বিশেষ ভাষণ দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টা আগামী শনিবার (১৪ জুন) দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।