পটিয়া, চট্টগ্রাম: গ্রাম বা শহরে বিলাসবহুল বাড়ি করেনি, কিন্তু গ্রামের মানুষের কল্যাণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ, প্রাইমারি স্কুল, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের জন্য জায়গা দান করেছেন। তিনি ঈদগাঁ, মসজিদ, মন্দিরে অর্থ দান করেন। এছাড়া, হতদরিদ্রের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাদ্যমত নিরবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সব সময় অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান।
তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন এবং তিনি সমাজে এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার দানের ফলে সমাজে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
বলা হচ্ছে ভাটিখাইন ইউনিয়নের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব সেলিম নবীর কথা। ভবিষ্যতে তিনি পটিয়া উপজেলার মডেল মসজিদের পাশে সাধারণ মানুষের জন্য কবরস্থান, আই হসপিটাল, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আধুনিক বাংলা ইংরেজি কারিকুলাম স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন।
সেলিম নবী শুধু একজন দানবিরই নন, তিনি একজন মানবিক ব্যক্তিত্ব। তার এ দানের কারণে বহু পরিবার তাদের অভাব দূর করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের জীবনে এসেছে আশার আলো।’
এলাকাবাসী বলছেন, ‘সেলিম নবীর জীবন আমাদের জন্য একটি বড় প্রেরণা। তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, আত্মত্যাগ ও সমাজসেবার মাধ্যমে তিনি শুধু ভাটিখাইন ইউনিয়নকেই নয়, পুরো সমাজকে আলোকিত করেছেন। তার মত একজন ব্যক্তির জীবনকে অনুসরণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সেলিম নবীর জীবন একটি সমাজের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার কাজের মাধ্যমে তিনি আমাদের সকলকে মানবিক হতে শিখিয়েছেন ও সমাজের জন্য একটি উত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
আলাপকালে সেলিম নবী সিবার্তাকে বলেন, ‘আমি যা অর্জন করেছি, বেশির ভাগ সম্পদ মানবতার কল্যাণে বিলিয়ে দিয়েছি। যাতে করে সমাজ ও দেশ উপকৃত হতে পারে।’
নিজের কাজ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের জন্য আমার মরহুম বাবা নবী সওদাগর ইউনিয়ন জায়গা দান করেছেন। তারাই ধারাবাহিকতাই আমি ভাটিখাইন ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুইটি কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাইমারি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সরকারকে জায়গা দান করেছি। এছাড়া, ভবিষ্যতে পটিয়া উপজেলার মডেল মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য কবরস্থান, আধুনিক বাংলা ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল ও চক্ষু হাসপাতাল, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা পরিকল্পনা করেছি। আশা করি, সকলের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাগুলো আল্লাহ রহমতে বাস্তবায়ন করতে পারব।’
মানব কল্যাণকে ইবাদত হিসেবে নিয়ে আমৃত্যু কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সেলিম নবী। এ জন্য তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
















