বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার দূগর্ম ৪ নং কুরুকপাতা ইউনিয়নে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। নয়টি পাহাড়ী পল্লীতে দুই শতাধিক লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলেও নেই কোন সরকারী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ও চিকিৎসক। স্থানীয়রা রোগীদের বাঁচাতে প্রশাসনের দ্রুত সহযোগীতা কামনা করেছেন।
স্থানীয় এনজিও কর্মী ও কুরুকপাতা ইউনিয়নের বাসিন্দা সাকনাও ম্রো বলেন, গত শুক্রবার (১১ জুন) থেকে সোমবার (১৪ জুন) পর্যন্ত মেনকিউ পাড়া, মারুম পাড়ায় ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ও বিভিন্ন পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী ছাড়া কোন মেডিকেল টিম আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে যায়নি। সাকনাও ম্রো আরো বলেন, মাংরুম পাড়ার বাসিন্দা মাংদন ম্রো, ঙানলি ম্রো রেংচং ম্রো ও মেনলিউ (ইয়ুংচা) পাড়ার বাসিন্দা রামদন ম্রো, তুমলত ম্রো,কাইসার ম্রো,চিংলে ম্রো ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বর্তমানে মেনলিউ (ইয়ুংচা) পাড়া ও মাংরুম পাড়ায় এর প্রভাব ব্যাপক ও উক্ত পাড়ার বাসিন্দারা পাড়া ছেড়ে জুম ঘরে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান সোনাবি পাড়ায় জনরুং ত্রিপুরাসহ ৬ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চত করেন।
৪নং কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, বর্তমানে নয়টি পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। দ্রুত চিকিৎসা সেবা না দিলে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়তে পারে। সেনাবাহিনীর অধীনে আলীকদম হাসপাতালের একটি চিকিৎসক দল যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু গেছে কিনা জানি না। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০/২৫০ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত। তিনি আরও বলেন, মেনরুম পাড়া,সোনাবি পাড়া, কচ্চপ ঝিরি,আলিষা মনি পাড়া,রুইথন পাড়া,তংলেইং পাড়া, মেনলিউ পাড়া,মাংরুম পাড়া,আমেন পাড়ায় আক্রান্তের হার বাড়ছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ শাহারিয়া আলম জানান, বর্তমানে করুকপাতা ইউনিয়নের ৫ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী জানান, দুইটি চিকিৎসক দল করুকপাতা ও বুলা পাড়ায় গেছে চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে। ঝিরি ও খালের পানি খাওয়ায় এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে তবে পরীক্ষা না করে কিছু বলা সম্ভব নয়।