রমা চৌধুরী একাত্তরের বীরমাতা। স্বাধীনতাযুদ্ধে ঘরবাড়ি, তিন শিশুসন্তান, স্বামী সবকিছু হারিয়ে পথে বসেন ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স করা এই নারী। পেশায় ছিলেন স্কুল-শিক্ষিকা। ১৯৭১ সালের ১৩ মে তিন শিশুসন্তান নিয়ে চট্টগ্রামের পোপাদিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ছিলেন তিনি। পাকিস্তানি দালালদের সহযোগিতায় পাকসেনারা রমা চৌধুরীদের বাড়িতে হানা দেয়। নিজের মা এবং দুই শিশুসন্তানের সামনে তাঁকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। বাড়িও পুড়িয়ে দেয়। অনাহারে, অর্ধাহারে শীতে দু’সন্তান সাগর আর টগরের অসুখ বেঁধে যায়। ২০ ডিসেম্বর রাতে মৃত্যুবরণ করে সাগর। একই অসুখে আক্রান্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মারা যায় টগর।
দেশ স্বাধীন হলে শুরু হয় আরেক লাঞ্ছনা- সমাজের চোখে তিনি তখন এক ‘ধর্ষিতা নারী’। তৃতীয় ছেলে টুনু ১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। হিন্দুধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শবদেহ পোড়ানোতে বিশ্বাস করেন না রমা চৌধুরী। তাই মৃত্যুর পর তাঁর তিন সন্তান ও মাকে কবরস্থ করা হয়। এরপর আর জুতো পায়ে দেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমার তিন ছেলে মাটির নিচে। তাদের শরীরের উপর দিয়ে জুতা পায়ে আমি হাঁটি কী করে? আমার সন্তানদের কষ্ট হবে না?’
[আমরা জানি, মুক্তিযোদ্ধা আজাদের মা ছেলে আজাদ জেলে ভাত খেতে পারেনি বলে, মেঝেতে শুয়েছে বলে, নিজে একাত্তরের পর যত বছর বেঁচে ছিলেন খাটে ঘুমাননি, ভাত খাননি]
লেখক রমা চৌধুরী সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
——————————–
এ পর্যন্ত রমা চৌধুরীর ২০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। লিখেছেন সাহিত্যের প্রায় সব ধরনের শাখায়- সমালোচনা সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক স্মৃতিকথা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন ইতিহাস গ্রন্থ, গল্প, উপন্যাস, লোক-সংস্কৃতিবিষয়ক গ্রন্থ, প্রবন্ধ এবং ছড়া। তাঁর অধিকাংশ বই আমার সংগ্রহে আছে। উল্লেখ্য, রমা চৌধুরী তাঁর ৮টি বই উৎসর্গ করেছেন তাঁর ৮টি বেড়ালকে। এমনই বেড়ালপ্রেমী ছিলেন তিনি।
রমা চৌধুরীর ছোটগল্প সংকলন ‘আগুন রাঙা আগুন ঝরা অশ্রু ভেজা একটি দিন’; প্রকাশকাল ২০১১। রমা গল্পের আখ্যানভাবে চিরায়ত গল্পবলার কৌশল অবলম্বন করেছেন। শুরুটা করছেন এভাবে- ‘সেই কিশোরীটি যে বধূ হতে চেয়েছিল অথচ পারলো না, তারই জীবনের করুণ-মধুর কাহিনী আজ বলে যাবো।’ এরপর তিনি গল্পবলার কথ্যরীতি অবলম্বন করে গল্পটি লিখে চলেছেন। লেখার ভেতর যে গতিটা আছে সেটি পাঠেও সঞ্চারিত হয়। পড়তে পড়তে একটুও ক্লান্তি আসে না। রমা চৌধুরীর গল্পে ছোট ছোট কোলাজের মতো সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতির চিত্র পাওয়া যায়। মূলত নারীজীবন তাঁর কথাসাহিত্যের প্রধানতম বিষয়।
সমালোচনা সাহিত্যে আমরা মোটামুটিভাবে সাহিত্যবোদ্ধা রমা চৌধুরীকে পাই। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পেশাজীবনে ছাত্রছাত্রীদের সাহিত্য পড়িয়েছেন। কাজেই তাঁর এই দৃষ্টিটা কিছুটা হলেও একাডেমিকভাবে তৈরি।
স্মৃতিকথামূলক ২টি বই লিখেছেন রমা চৌধুরী। একটি ‘সেই সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। অন্যটি ‘স্মৃতির বেদন অশ্রু ঝরায়’। এছাড়াও ‘একাত্তরের জননী’, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথামূলক উপন্যাস। ১৯৬১ সালে রমা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক উত্তালক্ষণে তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়েছেন। এমনও বলা হয়ে থাকে, তিনিই চট্টগ্রামের প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর নারী। কাজেই তাঁর এই স্মৃতিকথার একটা ঐতিহাসিক-সামাজিক মূল্য আছে। তাঁর অপর স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থটি সরাসরি ইতিহাস-সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রামে শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত ছিলেন রমা চৌধুরী। একে তো শিক্ষিত, সচেতন মানুষ, তার ওপর নারী, সাথে যুক্ত হয়েছে তাঁর হিন্দু-পরিচয়। সবমিলিয়ে পাকিস্তানি বর্বর আর্মিদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি নিজে যেমন নির্যাতিত হলেন, তেমনি নিজের দুই সন্তানকে হারালেন। তাঁর জীবনের সেই ক্রান্তিকাল নিয়ে তিনি লিখেছেন এখানে। এছাড়াও তাঁর স্মৃতিতে একাত্তর নিয়ে অগ্রন্থিত কিছু গদ্য আছে। স্মৃতিকথা নামে কয়েক পর্বে ছাপা হয়েছে পাক্ষিক ‘অনন্যা’ পত্রিকায়। ২০১৫ সালের ‘অনন্যা’ ঈদসংখ্যায় নিজের জীবনে বেড়ালের ভূমিকা নিয়ে অসাধারণ এক গদ্য লেখেন। যতদূর মনে পড়ে রমা চৌধুরী তাঁর ৮টি বই উৎসর্গ করেছেন তাঁর ৮ বেড়ালকে। সাহিত্যবিশ্বে এ এক অনন্য নজির বটে। আমি তখন পাক্ষিক ‘অনন্যা’র নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার কারণে রমা চৌধুরীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগও হয়েছে। এছাড়াও ২০১৩ সালে পাক্ষিক ‘অনন্যা’ থেকে শীর্ষদশ সম্মাননা প্রদান করা হয় তাঁকে। এসময় তিনি সম্মাননা গ্রহণ করতে ঢাকায় এলে কিছুক্ষণ আলাপ করার সৌভাগ্য হয় আমার।
রমা চৌধুরীর কবিতার বই দুটো- ‘স্বর্গে আমি যাব না’ ও ‘শহীদের জিজ্ঞাসা’। প্রকাশিত হয়েছে মাধুকরী থেকে। প্রকাশকাল বইয়ের কোথাও উল্লেখ নেই। সামগ্রিক কবিতায় আমরা প্রতিবাদী রমা চৌধুরীর পাশাপাশি মানবিক ও প্রেমময়ী নারী রমা চৌধুরীকে পাই। তিনি তাঁর কবিকণ্ঠে দ্রোহ এঁটে স্পষ্টভাষায় নারীর অধিকার অর্জনের কথা বলেছেন। ‘মেয়েদের মা হওয়ার সুযোগ দাও’ শীর্ষক গদ্যে তিনি বলেছেন, বন্ধ্যা নারী যেমন আছে, বন্ধ্যা পুরুষও তেমন আছে। বন্ধ্যা নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে সন্তানের বাবা হতে পারছে। কিন্তু বন্ধ্যা স্বামীর স্ত্রীর জন্য সেই স্বাধীনতা কেন থাকবে না? ‘পুত্রার্থে ক্রিয়তে বর্ত্তা’- এ নীতির প্রচলন কবে হবে? ‘আমি পাশ-বালিশ হতে আসিনি’ কবিতায় রমা লিখেছেন, ‘হে পুরুষ!/ আমি তোমার পাশ-বালিশ/ হতে দুনিয়ায় আসি নি,/ মাথার বালিশ হ’তেও না।…’ আবার তিনি পৃথিবীর প্রতি তার রোমান্টিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ‘স্বর্গে আমি যাব না’ কবিতায়- ‘যাব না, ভাই, যাব না/ স্বর্গে আমি যাব না/ দুধের নদী, ক্ষীরের সাগর/ যতই সেথা থাকুক না।/ চাই না যেতে স্বর্গে আমি/ যদি বকুল সেথা নাহি ফোটে।…’ কি সরল-প্রেমময়ী উচ্চারণ! রমা চৌধুরীর ছড়াকারও। ‘১০০১ দিন যাপনের পদ্য’ শিরোনামে তাঁর একটি ছড়াও বইও আছে। অধিকাংশ ছড়া নীতিকথামূলক, সরল ছন্দে আঁটা। শিশু-কিশোরদের জন্য ভীষণ উপযোগী এবং উপকারী পাঠ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
রমা চৌধুরী সাহিত্যিক হিসেবে যতটুকু পরিচিতি পেয়েছেন, তার সিংহভাগজুড়ে আছে তাঁর প্রাবন্ধিক পরিচিতি। বৈচিত্র্যময় বিষয় নিয়ে তিনি প্রবন্ধ লিখেছেন। তাঁর একটি বইয়ের নাম ‘চট্টগ্রামের লোকসাহিত্যে জীবন-দর্শন’। প্রকাশকাল ১৯৯৯। এই বইয়ে তিনি চট্টগ্রামের চাটগাঁর জনমানুষের মুখে মুখে প্রচলিত ছড়া ও প্রবাদ সংগ্রহ করেছেন, এবং তার অর্থসহ বিশ্লেষণ করেছেন। এই বিশ্লেষণে তিনি ছড়া ও প্রবাদের তাত্ত্বিক মূল্য, নীতিকথা, কৃষিকথা, ব্যঙ্গ ও রঙ্গ, ধাঁধা প্রভৃতি অনুষঙ্গ ধরে ধরে আলোচনা করেছেন। এক্ষেত্রে আমরা একজন গবেষক, সমাজ-বিশ্লেষক রমা চৌধুরীকে পাই।
নজরুল এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আলাদা করে গ্রন্থ লেখার পাশাপাশি পল্লীকবি জসীমউদদীন-এর জীবন ও সাহিত্য নিয়ে লিখেছেন ‘যে ছিল মাটির কাছাকাছি’ বইটি। জসীমউদদীন-এর ‘কবর’, ‘রাখালী’, ‘বালুচর’ ও ‘বেদের মেয়ে’ কাব্যগ্রন্থের আলোচনার ক্ষেত্রে তিনি তাঁর মৌলিক চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। বইয়ের একটি স্বতন্ত্র প্রবন্ধ হলো ‘বেদনার কবি’, প্রবন্ধটি তিনি শুরু করছেন এভাবে-
“Our Sweetest Songs are those
That Tell of Saddest Thoughts -P.B. Shelley
অর্থাৎ বিষণ্ণতা চিন্তার প্রতিফলন ঘটে আমাদের মধুরতম সঙ্গীতেই। অন্যভাবে বলতে গেলে আমাদের মধুরতম গান সেগুলিই যেগুলিতে বিষণ্নতম চিন্তার প্রতিফলন। ইংরেজি কবি শেলীর বিখ্যাত কবিতা ‘টু অ্যা শাইলার্ক’-এর উপরের চরণদুটি বেদনার কবি জসীমউদদীনের ‘কবর’-এর ক্ষেত্রে এতো বেশি খাটে যে মনে হয় উক্ত কবিতাটিই বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম গীতিকবিতা।” [‘যে ছিল মাটির কাছাকাছি’]
‘নীল বেদনার খাম’ বইটি মা ও ছেলের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনকে লেখা পত্রাবলী দিয়ে সাজানো। রমা চৌধুরীর ছেলে দীপংকর টুনু কবি ছিল। একমাত্র প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘হৃদয়ের ভাষা’। কিশোরকালে তাঁর লেখার হাত দেখে অনেকে তাঁর সঙ্গে কিশোরকবি সুকান্তের তুলনা করতেন। নিয়তির কি পরিহাস- দীপংকরও সুকান্তের মতো অকালেই, মাত্র একুশ বছর বয়সে মারা যায়। মা রমা চৌধুরী ছেলে দীপংকরের চিঠিগুলো নানাভাবে সংগ্রহ করে এই বইতে সংকলন করেছেন। সেই অর্থে বইটি একটি সম্পাদিত গ্রন্থ।
রমা চৌধুরী চট্টগ্রাম থেকে লেখেন, রাজধানীতে বা জাতীয়-পর্যায়ে লেখক হিসেবে তিনি ততটা পরিচিত নন। তাঁকে দেশবাসী মূলত চিনেছে ২০১৩ সালে, একজন বীরাঙ্গনা নারী হিসেবে। প্রসঙ্গটা শুরুটা উল্লেখ করেছি। তাঁর লেখকসত্তা নিয়ে কারো কোনো আগ্রহ আছে বলে মনে হয়নি। কারণ তাঁর লেখা দেশের প্রথমসারির কাগজগুলোতে প্রিন্ট হতে দেখা যায় নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানতে পেরেছি, রাজধানী থেকে কোনো সম্পাদক তাঁকে স্মরণ করেননি। ব্যতিক্রম দুয়েকজন থাকতে পারে। তাঁর বইগুলো চট্টগ্রামের অখ্যাত প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। ঢাকার কোনো প্রকাশনীও তাঁর সঙ্গে গ্রন্থ-প্রকাশের জন্য কখনো যোগাযোগ করেছে বলে শুনিনি। শিক্ষকতা থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে তিনি নিজের বই চট্টগ্রামের পথে পথে খালি পায়ে ফেরি করে বেড়িয়েছেন কয়েক দশক। এ থেকে যে অর্থ এসেছে তা দিয়ে নিজে জীবনধারণের পাশাপাশি তিনি তাঁর অকালপ্রয়াত ছেলের নামে ‘দীপংকর স্মৃতি অনাথআলয়’ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। নিজের বই ফেরি করা নিয়ে বলেছেন, ‘কারো কাছে জীবনে হাত পাতি নি। আমি নিজের লেখা বই বিক্রি করি। যেদিন বিক্রি করতে পারি সেদিন খাই, যেদিন পারি না সেদিন উপোষ থাকি।’
রমা উবাচ:
‘মুক্তিযুদ্ধ আমার কাঁধে ঝোলা দিয়েছে। আমার খালি পা, দুঃসহ একাকীত্ব মুক্তিযুদ্ধেরই অবদান। আমার ভিতর অনেক জ্বালা, অনেক দুঃখ। আমি মুখে বলতে না পারি, কালি দিয়ে লিখে যাব। আমি নিজেই একাত্তরের জননী।’
– পাক্ষিক অনন্যা
‘মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশটাকে আমাদেরই গড়তে হবে। দেশের মানুষকে আমি সেই কথাটিই বলতে চাই। চলুন, বিলাসিতা-উপভোগ এসব বাদ দিয়ে সবাই মিলে আমরা এই দেশ গড়ি।’
– প্রথম আলো
‘অন্ধ সমাজব্যবস্থা আর অমানবিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সমাজসচেতনমূলক বাস্তবধর্মী লেখাই মূলত আমি লিখে থাকি। এর মাধ্যমে সমাজের কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা, সাম্প্রদায়িকতা, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ অর্থাৎ শ্রেণিবৈষম্য দূর করাই আমার লেখার উদ্দেশ্য।’
– নারীকণ্ঠ
রমা চৌধুরীর বইসমূহ:
প্রবন্ধ সংকলন
* রবীন্দ্র সাহিত্য ভৃত্য
* নজরুল প্রতিভার সন্ধানে
* সপ্তরশ্মি
* চট্টগ্রামের লোক সাহিত্যের জীবন দর্শন
* অপ্রিয় বচন
* যে ছিল মাটির কাছাকাছি
* ভাব বৈচিত্র্যে রবীন্দ্রনাথ
* নির্বাচিত প্রবন্ধ
স্মৃতিকথা
* সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
* স্মৃতির বেদন অশ্রু ঝরায়
কাব্যগ্রন্থ
* স্বর্গে আমি যাব না
* শহীদের জিজ্ঞাসা
* ১০০১ দিন যাপনের পদ্য
পত্র সংকলন
* নীল বেদনার খাম
উপন্যাস
* একাত্তরের জননী
* লাখ টাকা
* হীরকাদুরীয়
গল্প সংকলন
* আগুন রাঙ্গা আগুন ঝরা
* অশ্রুভেজা একটি দিন
লেখক মোজাফ্ফর হোসেন এর ফেইসবুক থেকে নেওয়া।