চট্টগ্রাম: চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিতে (সিএসই) শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে প্রথম বারের মত দুই দিনের কমোডিটি ডেরিভেটিভস বিষয়ক একটি সার্টিফিকেট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়েছে। এতে সিএসই এবং ডিএসইর ট্রেকের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, পরিচালক এমদাদুল ইসলাম। এমসিএক্স (মালটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ) ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্টে অ্যান্ড হেড অব রিসার্চ দেবজ্যোতি দে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মূল প্রশিক্ষণে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বিষয়ক রেগুলেটরি, বিজনেস ও টেকনোলজি বিষয়ক উপস্থাপনা দেন কমোডটি এক্সচেঞ্জ প্রজেক্টের কনভেনার মো. মরতুজা আলম এবং কমোডটি এক্সচেঞ্জ প্রোজেক্ট সদস্য মো. ফয়সাল হুদা, ম্যানেজার মোহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ ও নাহিদ আফরোজ ।
অনুষ্ঠানে একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সিএসই বাংলাদেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কাজটি করছে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় তিনটি অংশের মধ্যে রেগুলেটরি ও কারিগরি অংশের কাজ শেষের দিকে, তৃতীয় অংশ মার্কেট ডেভেলপমেন্ট, সেটাও চলমান। তারই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকের এ সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানটি নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে । আজকের এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনারা যেমন ট্র্যাডিশনাল মার্কেট ও কমোডিটি মার্কেটের পার্থক্য বুঝতে পারবেন, তেমনি একই সাথে নতুন মার্কেটে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবেন।’
এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ কোটি কোটি মানুষের দেশ ও বিপুল সম্ভাবনাময় অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল বা পাকিস্তান থেকে এখনো পিছিয়ে আছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার দিক দিয়ে। আজ কমোডিটি এক্সচেঞ্জ থাকলে পণ্যের সঠিক ও যৌক্তিক দাম পাওয়া যেত এবং মূল্যের এত উঠানামা হত না। এতে করে ভোক্তা থেকে উৎপাদনকারী সবাই উপকৃত হত। কজেই আমাদের অর্থনীতির জন্য এ কমোডিটি এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠা এবং এর কার্যক্রম শুরু করা অতি জরুরী।’
এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বহু আগ থেকেই সুগঠিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত কমোডিটি ডেরিভেটিবস এক্সচেঞ্জ রয়েছে। তারপরও এক্সচেঞ্জগুলো ও প্রতিষ্ঠিত ব্রোকাররা নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। এ প্রশিক্ষণগুলোর দুইটি দিক আছে। প্রথমত নতুন নতুন পরিবর্তনগুলো জানানো ও দ্বিতীয়ত নতুন জেনারেশনকে প্রস্তুত করা। ইতিমধ্যে সিএসই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট রেগুলেশন অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে জমা দিয়েছে’ যা খুব তাড়াতাড়ি অনুমোদন পাবে বলে আশা করছি।’