লক্ষ্ণীপুর: সরকারি হিসেবে অনুযায়ী ২০২৪ সালে লক্ষ্মীপুর জেলায় বন্যার কারণে আনুমানিক পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ জন লোক পানিবন্দি হয়েছেন। জেলার ৪১৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে আনুমানিক ৩২ হাজার ৫১৯ মানুষ। এ বন্যার ফলে জেলার প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জেলায় বন্যার পানি ধীরগতিতে নামার ফলে এখনো জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আছেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ, রায়পুর, কমলনগর, রামগতি উপজেলাসহ লক্ষ্মীপুর সদর মোট পাঁচ এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর শারীরিক পুষ্টি নিশ্চিতকরণের জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) সহায়তায় ইপসা মোট ১৪ হাজার ৫৫৪ পরিবারকে উচ্চ শক্তি সম্পন্ন (হাই এনার্জিটিক) বিস্কুট জরুরি মানবিক সহযোগিতা হিসেবে বন্টনের কাজ গেল ৩১আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালিয়েছে। এ খাদ্য বিতরণের জেলা ডিডিএলজি এবং পাঁচ উপজেলা ইউএনও থেকে উপজেলাভিত্তিক আশ্রয় কেন্দ্রের তালিকা সংগ্রহ এবং উনাদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ১৪ হাজার ৫৫৪ পরিবার মধ্যে (রামগঞ্জ উপজেলায় চার হাজার পরিবার, রায়পুর উপজেলায় এক হাজর পরিবার, কমলনগর উপজেলায় সাড়ে চার হাজার পরিবার, রামগতি উপজেলায় এক হাজার ৫৪ পরিবারসহ লক্ষ্মীপুর সদরে চার হাজার) বিতরণ করা হয়।
এ উচ্চ শক্তি সম্পন্ন (হাই এনার্জিটিক) বিস্কুট সুষমভাবে বন্যা কবলিত মানুষ বিশেষকরে যারা সেন্টারে বা আশ্রয় কেন্দ্র (লক্ষ্মীপুর সদরসহ চার উপজেলার মোট ১০০টি) অবস্থান করছেন, তাদের মধ্যে বিতরণ করে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা)। ইপসা একটি অ-রাজনৈতিক, অ-লাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠনের সহযোগিতায় এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়েছে। এতে ইপসার গ্রাম আদালত প্রকল্পের লক্ষ্মীপুর জেলার ব্যবস্থাপক কেএম আবেদ উল্যা ও ইপসার প্রধান কার্যালয়ে প্রতিনিধি ব্যবস্থাপক (গবেষণা ও ইভ্যালুয়েশন) মোরশেদ হোসেন মোল্লাসহ ফোকাল পারশন আজিজ শিকদার যুক্ত ছিলেন।