চট্টগ্রাম: দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সঙ্গে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্র, কৃষি, বাণিজ্য ও বার্বুডা বিষয়ক মন্ত্রী এভারলি পাল চেট গ্রিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল মত বিনিময় সভা করেছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সিটির আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ সভার আয়োজন করা হয়।
চিটাগাং চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, ওমর মুক্তাদির, প্রতিনিধি দলের বিনিয়োগ ইউনিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চারমাইন ডোনোভান, অভিবাসীর চেয়ারম্যান- পরিচালক ই. ক্যাসরয় জেমস, জুলিয়েট জেনিল মার্সেল, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, অঞ্জন শেখর দাশ, বেনাজির চৌধুরী নিশান ও মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এভারলি পাল চেট গ্রিন বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা খুব শিগগিরই মিশন চালু করব। অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পর্যটন ও মৎস্য সেক্টর বহু সমৃদ্ধশালী। এছাড়াও, এখানে উৎপাদন হয় রিফাইন্ড পেট্রোলিয়াম, সয়াবিন ও সুগারক্যানসহ নানা কৃষি পণ্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার রয়েছে শক্তিশালী পাসপোর্ট। পৃথিবীর ১৬০টি দেশে সহজে যেতে পারে পাসপোর্টধারীরা। এছাড়াও, এখানে রয়েছে ঝামেলামুক্ত বিনিয়োগ সুবিধা। বিনিয়োগকারীরা সহজে ঢুকতে পারে যুক্তরাষ্ট্রসহ যুক্তরাজ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে।’
তাই, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এসব সুবিধা বিবেচনা নিয়ে বিনিয়োগের আহবান জানান এভারলি পাল চেট গ্রিন। একই সঙ্গে তিনি উভয়দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন ও হসপিটালিটির বিকাশে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে চিটাগাং চেম্বারের নেতৃবৃন্দকে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা সফরে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অঞ্চল বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং এবং টেক্সটাইল খাতে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ছড়িয়ে পড়ছে। পৃথিবীর নামীদামি ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরির করে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও, বাংলাদেশ পৃথিবীর ১৪তম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ। পৃথিবীর ২২টি কৃষি পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে রয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ল্যাটিন অঞ্চলগুলো থেকে সয়াবিন ও ‘র’ সুগারসহ মসলা আমদানি করে।’
তিনি বাংলাদেশ প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজার। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা সরকার কর্তৃক বিনিয়োগের প্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করে চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর এবং পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটন খাতে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহবান জানান।
সভায় অন্য বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশীরা পর্যটনপ্রিয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবকাশ যাপন করে বাংলাদেশীরা।’
তাই, পর্যটনের নয়া গন্তব্য হিসেবে বার্বুডাকে বিবেচনা নিতে বাংলাদেশে মিশন স্থাপন ও সরাসরি ফ্লাইট চালুর আহবান জানানা বক্তারা।
এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির আহবান জানান তারা।