রাতের কয়েক ঘন্টা বৃষ্টিতে পুনরায় ডুবে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকা। কোথাও কোথাও পানি উঠেছে হাঁটু থেকে বুক সমান। টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড়ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।
আজ ৩০ জুন,বুধবার রাতে সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে নগরের রহমতগঞ্জ, হালিশহর, ষোলশহর, কাপাসগোলা, চাক্তাই, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, ওয়াসা মোড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, মুরাদপুর, চকবাজার, ডিসি রোড, চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। নগরের রহমতগঞ্জে পানি ওঠে কোমরসমান। চাক্তাই খাল ও হিজড়া খাল পুরোপুরি পরিষ্কার না হওয়ায় বৃষ্টির পানি আশপাশের ঘর-বাড়িতে উঠে গেছে। অন্যান্য এলাকায় হাঁটুসমান পানি ওঠে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রাতে মুরাদপুর বাসায় উদ্দেশ্যে যাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা মো. রাসেল বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই পানি উঠে যায় মুরাদপুর এলাকায়। রাস্তার উপর হাটু পরিমাণ পানি উঠায় ঝুকি নিয়ে পথ চলতে হয়।সড়কের পাশে অনেক বড় নালা থাকায় যেকোন মূহুতে দূর্ঘটনার আশংকা ও প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের আওতায় নগরের বিভিন্ন খালে দেয়া বাঁধগুলো চলতি মাসের ৩০ জুনের মধ্যে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল জলাবদ্ধতা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায়। সভায় সিটি মেয়র রেজাউল করিম বলেছিলেন জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের চলমান কাজের জন্য বিভিন্ন খালে বাধ নিমার্ণ করা হয়েছে। খালে দেওয়া বাধ গুলো সরিয়ে নিলে পানি সহজে নদীতে চলে যাবে। এতে নগরে জলবদ্ধার সমস্যা অনেকাংশ কমে যাবে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১২টার আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমদ বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।