চট্টগ্রাম: কারিগরি শিক্ষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি, প্রচারণাসহ শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক স্কিল ও ইনোভেশন প্রতিযোগিতা শনিবার (৬ এপ্রিল) সিটির কাজীর দেউরীস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন অ্যাকসেলারিটিং এন্ড স্ট্রেনদেনিং স্কিলস ফর ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশান প্রকল্পের আওতায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৮টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নির্বাচিত ৫৪টি প্রকল্প দেখানো হয়। মূল্যায়ন কার্যক্রমের পর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকারীদের পুরস্কার দেয়া হয়। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি করা হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন,ব্যানারের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের বিভিন্ন স্লোগান দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন। এছাড়া, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মালেক এবং বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শ্রমিকরা বিদেশের বাজারে গিয়ে সঠিক বাজারমূল্য পায় না। কারণ, শুধু দক্ষতা থাকলে হবে না সনদও থাকতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানাই, আপনাদের জেনারেল স্কিলের পাশাপাশি সফট স্কিলের (কমিউনিকেশন) প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। আপনার দক্ষতা আছে কিন্তু সেটা বুঝিয়ে বলতে না পারলে কাজের ক্ষেত্রে আপনি পিছিয়ে পরবেন। কারিগরি বা জেনারেল বিষয়ে পড়ালেখা করার পাশাপাশি নিদিষ্ট একটা বিষয়ের উপর দক্ষতা অজর্ন করলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে ও বেকারত্বের হাত থেকে মুক্তি মিলবে।’
প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ‘আইওটি বেসড এ্যাপ্লায়েন্স কন্ট্রোল সিস্টেম’ প্রকল্পটি প্রথম হয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ‘স্মার্ট ফুটওভার ব্রিজ’ প্রকল্পটি। তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ‘স্মার্ট একাডেমিক অবকাঠামো’ প্রকল্পটি। এছাড়া, চতুর্থ পেয়েছে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ‘এনভায়রনমেন্টাল ডাটা এনালিস্ট।’