কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের দরিয়ানগর প্যারাসাইলিং পয়েন্টে দু’দিন পড়ে থাকা তিমি মাছের বেশ কয়েকটি কঙ্কাল পুঁতে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল ১১ টার দিকে রামু উপজেলা প্রশাসন ও দক্ষিণ বনবিভাগের সহযোগিতায় হিমছড়ি পয়েন্টের একটু আগে বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়। পুঁতে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের কলাতলী বিট অফিসার সোহেল রানা।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের সভাপতি পারভেজ মোশাররফ বলেন, রোববার (২৭ জুন) দুপুরের দিকে জোয়ারের সাথে দরিয়ানগর সৈকতে তিমির কঙ্কালের বেশ কয়েকটি অংশ ভেসে উঠতে দেখা যায়। এটি গত এপ্রিল মাসে বালুচরে পুঁতে ফেলা দুটো তিমির মেরুদণ্ডের অংশ হতে পারে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালের দিকে কঙ্কালের বেশ কয়েকটি অংশ বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের কলাতলী বিট অফিসার সোহেল রানা বলেন, মঙ্গলবার সকালের দিকে তিমি মাছের কঙ্কালের তিনটি অংশ বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। স্কেবেটর না পাওয়ায় কঙ্কাল পুঁতে রাখতে একটু সময় লেগেছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ এপ্রিল হিমছড়ি সৈকতে ভেসে এসেছিল ১০ ও ১৫ টন ওজনের দুটি মৃত তিমি। সেগুলো বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। আড়াই মাস পর তিমির কঙ্কালগুলো সংগ্রহ করে জাদুঘর কিংবা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের মিউজিয়ামে সংরক্ষণের কথা ছিল।