রিয়াদ হোসেন, আনোয়ারা প্রতিনিধি: করোনার তৃতীয় ঢেউতে তছনছ হতে চলেছে আনোয়ারা উপজেলার চিত্র। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে।
উপজেলায় অবস্থিত কেইপিজেডের হাজার হাজার শ্রমিকের প্রতিনিয়ত যাতায়াত। এছাড়াও আরো বেশ কিছু দেশী বিদেশী কোম্পানির হাজারো শ্রমিক। অপরদিকে স্থানীয় ও এসব শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিধি ও মাস্ক ব্যবহারে সচেতন না হওয়ায় হু হু করে বাড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
শনিবার আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ৪৩ জনের নমুনা পাঠানো হলে ১৭ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয় । উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য মতে পহেলা জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১১১ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ২৭জুন পর্যন্ত এই ১বছর দুই মাস ১৪দিনে আনোয়ারায় করোনা রোগী সনাক্ত ৬১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
তারমধ্যে শুধু মাত্র পহেলা জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত ৪০৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১১ জনের দেহে করোনার বিষ শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে সর্বমোট ৪২২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত ৬১৮ জন। আনোয়ারায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ৪ জন।
অপর দিকে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে- ১২০৫৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে- ১০১৪৩জন । প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা স্থগিত রয়েছে।
এই বিষয়ে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহিদ মোঃ সাইফুদ্দীনের সাথে।
তিনি বলেন, যেহেতু আনোয়ারায় সংক্রমণের সংখ্যা কম বেশি বেড়ে চলেছে সেহেতু করোনার বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এই বছর যেহেতু সংক্রামনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু সকলকে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে সকলকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখে চলাফেরা করতে হবে এবং মাস্ক পরিধান ও বাইরে থেকে এসে সাবান, স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণু মুক্ত করতে হবে। সচেতনতায় এক মাত্র অবলম্বন ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই।