করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা না থাকা সত্বেও আলাদা ইউনিট তৈরি করে পাঁচ হাজার করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছেন বলে দাবি করেছেন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. রবিউল হোসেন।
আজ রোববার, ২০ জুন সকাল সাড়ে ১১ টায় হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাতে অনেক কিছুর অভাব রয়েছে ,সবকিছু মাথায় রেখেই আমরা এই হাসপাতালটি গড়ে তুলেছি। করোনা পরিস্থিতির প্রথম থেকে হাসপাতালে করোনার রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুযোগ না থাকলেও পরবর্তীতে রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ৫ হাজার রোগী করোনা চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া ৬ শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। করোনার সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালেই হয়। আমাদের হাসপাতালের প্রতিটি ডাক্তার নার্স উন্নত দেশের ন্যায় প্রশিক্ষিত। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য আমরা বিদেশে পর্যন্ত পাঠিয়েছি।
ডা. রবিউল হোসেন আরও বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই হৃদরোগের চিকিৎসা গত জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের প্রখ্যাত হার্ট সার্জন ডা. দেবী শেঠি প্রতিষ্ঠিত নারায়ণা হেলথের চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানের সমন্বয়ে গঠিত ৪০ জনের একটি টিম কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ২৬টি ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে এই বিভাগে। এছাড়া ২০০টির অধিক এনজিওপ্লাস্টি করা হয়েছে। করোনার মধ্যে এই সাফল্য ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
এসময় তিনি জানান, রোগ নির্ণয়ে ল্যাব মেডিসিন, বিশেষ করে ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ে বায়োপসি ও হিস্টোপ্যাথোলজি বিভাগ কাজ করছে। এমনকি অপারেশন চলাকালীন সময়ে তাৎক্ষণিক ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য ফ্রোজেন সেকশানের ব্যবস্থা রয়েছে, যা চট্টগ্রামে শুধুমাত্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালেই হয়ে থাকে।
এই হাসপাতালে ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার ইউনিট, শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট, ট্রমা সেন্টার, ইনফার্টিলিটি ইউনিট এবং হাসপাতালের জন্য দক্ষ নার্স তৈরিতে ‘চট্টগ্রাম ইমপেরিয়াল কলেজ অব নার্সিং’ এবছর চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ড. এ কে এম আরিফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড অব ডিরেক্টর্স এর সিনিয়র সদস্য এম এ মালেক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী।