আগ্রাবাদে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ তলা বিশিষ্ট বিএসটিআই ভবনের নির্মাণ কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। ২০১৭ সালের একই সময়ে চট্টগ্রাম এবং খুলনা বিএসটিআই ভবনের কাজ শুরু হলেও খুলনার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বহুল আলোচিত জিকে শামীমের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিকে বিএল (জেবি) চার বছরে চট্টগ্রামের বিএসটিআই ভবনের গ্রাউ- লেভেলের কাজও শেষ করতে পারেনি।
বিএসটিআই এবং পণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে প্রায় ৪ বছরেও কাজের আগ্রগতি তেমন হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত। পরবর্তীতে জুন ২০২১ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ বাকি আছে আর মাত্র ১ মাস। এরমধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের গাফিলতির বিষয়টি চিহিৃত করে গণপূর্ত বিভাগ গত ২০ মে ঠিকাদারের সাথে চুক্তি বাতিল করেছে। আবার নতুন করে টেন্ডার আহবান করতে যাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগ।
এই ব্যাপারে বিএসটিআইয়ের উপ পরিচালক শওকত ওসমান জানান, চট্টগ্রামের বিএসটিআই ভবন এবং খুলনার বিএসটিআই ভরনের একই সময়ে টেন্ডার এবং কাজ শুরু হয়েছিল। চট্টগ্রামেরটা কাজ পেয়েছিল জিকে শামীমের-জিকে বিএল(জেবি) প্রতিষ্ঠান। আর খুলনারটা অন্য কোম্পানী কাজ পেয়েছিল। খুলনারটার নিমার্ণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। অথচ আমাদের চট্টগ্রামেরটা এখনো মাটির সাথে বসে আছে। ৩৫ কোটি টাকার ১০ তলা ভবনের ৩ বছর পার হয়ে গেলেও-এখনো কিছুই হয়নি। শুধু নিচের থেকে কিছু পিলার উঠেছে। এটি গণপূর্ত বিভাগের কাজ। তারা জিকে শামীমের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল করেছে। আগের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কি কাজ করেছে-এই বিষয়ে আগামী সপ্তাহে একটি সার্ভে হবে। এখানে বিএসটিআই ও পর্ণপূর্তের প্রতিনিধি থাকবে এবং জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকব
এই ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির আহমেদ জানান, আগ্রাবাদে ১০ তলা বিশিষ্ট বিএসটিআই ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। ৪ বছরেও কাজ শেষ করতে পারেনি। চুক্তি মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারের সাথে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আমি গত মার্চ মাসে আগ্রাবাদ অফিসে যোগদানের পর গত ২০ মে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বাতিল করেছি। এখন সকল প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। আগের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কি কি কাজ করেছে তার একটি তালিকা তৈরী করা হবে। জিকে বিএল এবং দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স (জেবি) এই কাজটি পেয়েছিলেন।